কানহাইয়া কুমার।—ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের অনুমতি মেলেনি এখনও পর্যন্ত। অথচ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের হয়ে গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের(জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ-সহ দশজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। তা নিয়ে আদালতে তিরস্কৃত হতে হল তাদের।
দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তাই দেশদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগে চার্জশিট দিতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে বাধ্য তারা। জেএনইউ কাণ্ডে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তাই যত ক্ষণ পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার কানহাইয়াদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমতি না দিচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে এগনো যাবে না বলে শনিবার সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
এ দিন দিল্লি পুলিশকে কড়া কথা শোনান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দীপক শেরাওয়াত। প্রশ্ন তোলেন, “সরকারের অনুমতি জোগাড় করতে পারেননি আপনারা। তাহলে চার্জশিট জমা দিতে গেলেন কেন?” প্রত্যুত্তরে দশদিন সময় চেয়ে বসে দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যে রাজ্য সরকারের অনুমতি জোগাড় হয়ে যাবে বলে জানায়। আদালত যদিও ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি রুখছি বলে কেউ কেউ আমার উপর খুব চটেছেন, বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অভাব নেই, বর্ণময় ব্রিগেড থেকে বিজেপির কটাক্ষের জবাব মমতার
ঝামেলার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। সে বছর ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদভবন হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আফজল গুরুর শোকসভার আয়োজন করে জেএনইউ পড়ুয়ারা। সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। যার ভিত্তিতে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে যদিও জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তাঁরা।
কিন্তু তিন বছর পর, গত ১৪ জানুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে দেশদ্রোহের অভিযোগে চার্জশিট দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। ১২০০ পাতার চার্জশিটে তাঁদের বিরুদ্ধে ১২৪-এ (দেশদ্রোহ), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৭১ (ভুয়ো নথিপত্রকে আসল বলে চালানোর চেষ্টা), ১৪৩ (বেআইনি জমায়েতে অংশগ্রহণ), ১৪৯ (বেআইনি সংগঠনের সদস্য হওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গা) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের হয়। এর তীব্র প্রতিবাদ করেন কানহাইয়া কুমার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এতদিন পর নতুন করে বিষয়টি খুঁচিয়ে তুলতে কেন্দ্রীয় ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের কপিল সিবল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy