Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Shaheen Bagh

‘ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় ফাঁকা করে দেব শাহিন বাগ’, হুমকি আরেক বিজেপি সাংসদের

প্রবেশ বলেন, “ওঁরা আপনাদের ঘরে ঢুকে মেয়ে-বোনেদের খুন, ধর্ষণ করবে। এখনও সময় আছে। আগামী দিনে কিন্তু মোদী-শাহ বাঁচাতে আসবে না।”

দিল্লির এই জনসভা থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। ছবি সৌজন্য টুইটার।

দিল্লির এই জনসভা থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৪৫
Share: Save:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই আরও এক বিজেপি সাংসদের গলায় হুমকির সুর শোনা গেল। তিনি পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা।

সামনেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে বিকাশপুরীতে একটি জনসভা থেকে শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ওঁরা আপনাদের ঘরে ঢুকে মেয়ে-বোনেদের খুন, ধর্ষণ করবে। এখনও সময় আছে। আগামী দিনে কিন্তু মোদী-শাহ বাঁচাতে আসবে না। এর পরই তিনি বলেন, “ মনে রাখবেন, এটা শুধু মাত্র একটা নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনই ঠিক করবে দেশের একতা।”

এখানেই থানেননি প্রবেশ। হুমকির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা করে দেব শাহিনবাগ।” সরকারি জমিতে এক মাসের মধ্যে যে সব মসজিদ গড়ে উঠেছে সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও শোনা গিয়েছে এই বিজেপি সাংসদের গলায়।

প্রথমে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, তার পর অনুরাগ ঠাকুর, এ বার প্রবেশ বর্মার এই বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবারই এক নির্বাচনী জনসভা থেকে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে মারা হবে।’ তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল রাজনৈতিক চর্চা। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অনুরাগকে। আসরে নেমেছে নির্বাচন কমিশনও। তারা অনুরাগের এই মন্তব্যের রিপোর্টে চেয়ে পাঠিয়েছে। যদিও অনুরাগ সাংবাদিকদের বলেন, “আগে গোটা ভিডিয়োটি দেখা উচিত আপনাদের। তার পর দিল্লিবাসীর মন বুঝুন।”

আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির চোখরাঙানি, শীত ফেরার সম্ভাবনা

আরও পড়ুন: ‘দিদি-মোদী এক নয়’, দাবি মমতার

ওই দিন উত্তর দিল্লির রিথালায় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন অনুরাগ। সেখানে জনসভার মঞ্চ থেকেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে মারুন।’’ জনসভা থেকে তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা উত্তর আসে ‘গুলি করে মারা হবে…।’ অনুরাগের এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনুরাগ যখন এ ধরনের মন্তব্য করছিলেন, সে সময় ওই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিজেপির অনেক নেতা।

শুধু অনুরাগ ঠাকুর বা প্রবেশ বর্মা নয়, কয়েক দিন আগে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। একটি টুইট করে বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র বলেছিলেন, ‘‘শাহিনবাগের মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতে ঢুকে পড়েছে। মিনি পাকিস্তান তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। পাকিস্তানের দাঙ্গাবাজেরা রাস্তা দখল করে বসে আছে।’’ পরে অন্য আর একটি টুইটে তিনি লেখেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন দিল্লিতে ভারত বনাম পাকিস্তানের লড়াই হতে চলেছে।” এর পরই ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা, ঘৃণা ও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর অপরাধে পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় কমিশন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE