গ্রেনেড বিস্ফোরণে সোমবার কেঁপে ওঠে শ্রীনগর। নিহত হন উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা। ওই ঘটনায় জখম মহিলার চিকিৎসা চলছে শহরের এক হাসপাতালে । ছবি: পিটিআই
কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন অন্য রাজ্যের বাসিন্দা। আজ খাস শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রিঙ্কু সিংহ। তিনি হরি সিংহ হাই স্ট্রিট বাজারে খেলনা বিক্রি করতেন। তিন জওয়ান-সহ আহতের সংখ্যা ৩৫। ১৪ অক্টোবর থেকে এ নিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন ১২ জন ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিকও।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ বেশ ভিড় ছিল হরি সিংহ হাই স্ট্রিট বাজারে। ওই বাজারের গনিখান চত্বরে বরাবরই মহিলা ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তবে নিষেধাজ্ঞার উপত্যকায় সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তবে তার মধ্যেও সকালের দিকে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেনাকাটা চলাকালীনই গনিখান চত্বরের প্রবেশপথে গ্রেনেড ছোড়ে দুই মোটরবাইক আরোহী জঙ্গি।
প্রবেশপথের উল্টো দিকেই মাছ বিক্রি করেন কাশ্মীরি মহিলারা। শামলী নামে এক মাছ বিক্রেতার কথায়, ‘‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হল। তার পরে দেখলাম ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে গোটা চত্বর। সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন অনেকে।’’ আর এক প্রত্যক্ষদর্শী জ়াহির মির বললেন, ‘‘জীবনে এত জোর শব্দ শুনিনি।’’ ফল বিক্রেতা মুখতার খানের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী গনিখান চত্বরের প্রবেশপথ থেকে দূরে ছিল। তাই ওই এলাকাকে গ্রেনেড হামলার জন্য বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: পিএফ দুর্নীতিতে চাপান-উতোর যোগীর রাজ্যে
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রিঙ্কু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গ্রেনেড হামলার পরে লাল চকের অস্থায়ী বাজার-সহ সব দোকানপাটেই ক্রেতার সংখ্যা কমে যায়। এ দিনের ঘটনা যে ফের উপত্যকায় ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তা মেনে নিচ্ছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাই।
কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সাধারণত তাঁরা দিনে এক বার ও সন্ধ্যায় এক বার দোকান খুলতেন। কিন্তু এখন তাঁদের সারা দিন দোকান খোলা রাখতে চাপ দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, বাজার-দোকানপাট খোলা থাকলে উপত্যকা দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে মত প্রশাসনের। কিন্তু দোকান খুললেই জঙ্গি হামলার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘আমাদের এখন জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy