Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Update

প্রায় ৩ মাস পর দেশের দৈনিক মৃত্যু ৬০০-র কম, নতুন আক্রান্ত ৫৫৭২২

দেশের মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৩৯৯ জন।

দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। গ্রাফিক- শৌক্ভিক দেবনাথ।

দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। গ্রাফিক- শৌক্ভিক দেবনাথ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১০:২৯
Share: Save:

অক্টোবরের শুরু থেকেই কমছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহ ধরেই তা ৭০ হাজারের কম। আজ তা ৫৬ হাজারের নীচে। রবিবার বাড়লেও গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা রয়েছে ১ হাজারের কম। আজ তা ৬০০-র কম। যদিও দেশে যখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে, তখন কয়েকটি রাজ্যে তা বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৭২২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। ওই সময়কালে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৮ হাজার ও সাড়ে ১৯ হাজার। আমেরিকাতে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ লক্ষ ৫৪ হাজার জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৫২ লক্ষ ৪৩ হাজার জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৭২২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। ওই সময়কালে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৮ হাজার ও সাড়ে ১৯ হাজার। আমেরিকাতে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ লক্ষ ৫৪ হাজার জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৫২ লক্ষ ৪৩ হাজার জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৬৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০৮ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৩৯৯ জন। কয়েক সপ্তাহ ধরেই নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। কমতে কমতে তা হয়েছে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫ জন।

দেশের বেশির ভাগ রাজ্যেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি রাজ্যে তা বাড়ছে। যা দেশের গড় প্রবণতা পরিপন্থী। এ ব্যাপারে সবথেকে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তার পরই দিল্লি।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। বিক্ষিপ্ত কিছু দিন বাদ দিলে সেপ্টেম্বর থেকেই দেশে সংক্রমণের হার ৬-৮ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আজ তা ৬.৪৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৮৬ জনের। যা গত ২ দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। বিক্ষিপ্ত কিছু দিন বাদ দিলে সেপ্টেম্বর থেকেই দেশে সংক্রমণের হার ৬-৮ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আজ তা ৬.৪৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৮৬ জনের। যা গত ২ দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

করোনাভাইরাস ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। যদিও ইউরোপের দেশগুলি বা আমেরিকার তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক কম। রবিবার বাড়লেও গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুও কমে ১ হাজারের নীচে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৯ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬১০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তার মধ্যে ৪২ হাজার ১১৫ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে তা সাড়ে ৬ হাজারের আশেপাশে। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। প়ঞ্জাবে প্রায় ৪ হাজার ও গুজরাতে করোনার জেরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও মৃত আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, কেরল, ওড়িশাতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যেগুলিতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের কম।

করোনাভাইরাস ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। যদিও ইউরোপের দেশগুলি বা আমেরিকার তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক কম। রবিবার বাড়লেও গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুও কমে ১ হাজারের নীচে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৯ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬১০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তার মধ্যে ৪২ হাজার ১১৫ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে তা সাড়ে ৬ হাজারের আশেপাশে। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। প়ঞ্জাবে প্রায় ৪ হাজার ও গুজরাতে করোনার জেরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও মৃত আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, কেরল, ওড়িশাতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যেগুলিতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মৃত্যুর মতো সংক্রমণের নিরিখেও দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। যদিও দৈনিক সংক্রমণ সেখানে আগের থেকে অনেক কম। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ও কর্নাটকে ৭ লক্ষ ৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার। ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে কেরল। শুরুর ঝটকা সামলে নিলেও ওনামের পর থেকেই কেরলে দৈনিক আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৪১ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৩১ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে ৩ লক্ষ ২১ হাজার। ওড়িশা ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ও তেলঙ্গানাতে ২ লক্ষ ২৩ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। বিহার ও অসমে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরিয়েছে। রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানাতে মোট আক্রান্ত দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। পঞ্জাবে মোট আক্রান্ত ১.২৭ লক্ষ। ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্ত এখনও ১ লক্ষ পেরোয়নি।

মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসমেও তা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কর্নাটক ও কেরলে তা এখনও লাগামছাড়া। দিল্লিতেও দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ৩ হাজারের বেশি। রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের নতুন সমংক্রমণ নিয়েও চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে। ৩ হাজার থেকে তা সাড়ে ৩ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬ জন। যদিও এর মধ্যে ২ লক্ষ ৮১ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট ৬ হাজার ৫৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে। ৩ হাজার থেকে তা সাড়ে ৩ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬ জন। যদিও এর মধ্যে ২ লক্ষ ৮১ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট ৬ হাজার ৫৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy