ওয়ার্ডের মধ্যে রোগীর বিছানার পাশেই প্লাস্টিকে মোড়া দেহ। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
হাসপাতালের ওয়ার্ড। সেখানে শুয়ে রয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা। তাঁদের কারও কারও আত্মীয় পরিজনরাও রয়েছেন সেখানে। সেই রোগীদের বিছানার আশপাশেই ছড়ানো রয়েছে ব্যাগে মোড়া মৃতদেহ। এই ঘটনা ঘটেছে মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত সিয়ন হাসপাতালে। মোবাইলে তোলা সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে নেটাগরিকদের।
বুধবার ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা নীতীশ রাণে। তা পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘সিয়ন হাসপাতালের মৃতদেহের পাশেই ঘুমোচ্ছেন রোগীরা! এ কেমন প্রশাসন! খুব লজ্জাজনক ঘটনা।’’ সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগীদের পাশেই রাখা আছে প্লাস্টিকে মোড়া সাত-আটটি দেহ।
বিষয়টি নিয়ে সিয়ন হাসপাতালের ডিন প্রমোদ ইনগালে বলেছেন, ‘‘কোভিড-১৯এ মৃত রোগীর আত্মীয়রা দেহ নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। তাই দেহগুলি পড়েছিল সেখানে। দেহগুলি আমরা সরিয়ে দিয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে।’’ কিন্তু বাড়ির লোক রাজি না হলে দেহগুলি কেন মর্গে রাখা হল না? এর জবাবে ইনগালে বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের মর্গে ১৫টা জায়গা আছে। যার মধ্যে ১১টা ভর্তি। সবগুলি জায়গা যদি আমরা ভর্তি করে ফেলি, তাহলে করোনা ছাড়া অন্য রোগে মৃতদের দেহ রাখা নিয়ে সমস্যা হবে।’’
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃত ১১, অসুস্থ প্রায় ১০০০
প্লাস্টিকে মোড়া দেহ থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন। একবার প্লাস্টিকে দেহ মোড়া হয়ে গেলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। দেখুন সেই ভিডিয়ো—
In Sion hospital..patients r sleeping next to dead bodies!!!
— nitesh rane (@NiteshNRane) May 6, 2020
This is the extreme..what kind of administration is this!
Very very shameful!! @mybmc pic.twitter.com/NZmuiUMfSW
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। সে রাজ্যে এখনও অবধি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫৮ জন। তার মধ্যে মুম্বইয়েই আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের বেশি। এখনও অবধি সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৫১ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy