আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিমানে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব স্পাইসজেটের।
হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়। পরিবার, পরিজন আর জরুরি সামগ্রী নিয়ে হেঁটে চলেছেন বাড়ির পথে। লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিল বিমান পরিবহণ সংস্থা স্পাইসজেট। অন্য দুই সংস্থা ইন্ডিগো এবং গোএয়ার-ও তাদের বিমান এবং কর্মীদের যে কোনও জরুরি পরিষেবার জন্য সরকারকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবে সরকারের তরফে এখনও এ নিয়ে কোনও জবাব মেলেনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। লকডাউনের ঘোষণার পর বন্ধ দেশীয় যাত্রিবাহী উড়ানও। তবে পণ্যবাহী বিমান চলাচল করছে। খাবার, ওষুধ-সহ জরুরি সামগ্রী দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। তার মধ্যেই দিল্লি ও মুম্বই থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পটনায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিল স্পাইসজেট।
সংস্থার চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা আমরা দূর করতে চাই। বিশেষ করে যাঁরা বিহারে ফিরছেন তাঁদের জন্য। দিল্লি ও মুম্বই থেকে পটনা পর্যন্ত এই পরিষেবা দিতে চাই আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও মানবিক কাজে আমাদের বিমান ও কর্মীদের ব্যবহারের জন্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমরা খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মতো জিনিসপত্র সরকারের কাজের জন্য প্রতিদিন পরিবহণ করছি। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সরকার ও দেশের মানুষকে আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করব।’’
আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, আরোগ্যের পথে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলাপুত্র
ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ-র গাইডলাইন অনুযায়ী দেশের মধ্যে সমস্ত যাত্রিবাহী উড়ান বন্ধ। তবে কার্গো বিমান বা বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিমান ওড়ার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু স্পাইস জেট বা অন্য সংস্থাগুলির প্রস্তাব নিয়ে ডিজিসিএ-র তরফে কিছু জানানো হয়নি। স্পাইসজেটের রয়েছে পাঁচটি কার্গো বিমান। সেগুলি চালু থাকলেও যাত্রিবাহী ৮২টি বোয়িং ৭৩৭, দু’টি এয়ারবাস এ৩২০ এবং ৩২টি বোম্বার্ডিয়ার কিউ৪০০ বিমান সবই বন্ধ।
গত ২৫ মার্চ আচমকা সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় অনেকেই ঘরে ফিরতে পারেননি। কারণ ট্রেন, বাস-সহ সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্তব্ধ। আবার কর্মস্থলেও খাবার মিলছে না। টান পড়ছে টাকায়। তাই হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। এঁদের মধ্যেও আবার দিল্লি ও মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ফিরছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের দিতে দিল্লি ও মুম্বই থেকে পটনা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিল স্পাইসজেট।
আরও পড়ুন: ‘অভাবে ঘর ছেড়েছিলাম, ফিরলাম নিঃস্ব হয়ে’, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ঘরে হাহাকার
ইন্ডিগো এবং গোএয়ারের পক্ষ থেকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ইন্ডিগো তাদের বিমান ও ক্রু সরকারি কাজে যে কোনও সময় ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত বলে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে জানিয়েছিল। ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রীও পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থা। শুক্রবার একই প্রস্তাব দিয়েছে গোএয়ার-ও।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy