ছবি: সংগৃহীত।
উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নয়, বরং লকডাউনের পর প্রাথমিক ভাবে কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটিই প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত শিল্প সংস্থাগুলির। সমস্ত সুরক্ষানীতি খেয়াল রেখে তবে কলকারখানায় উৎপাদন শুরু করার দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে গেলে প্রথম সপ্তাহটিকে যেন পরীক্ষামূলক সময় হিসাবে গণ্য করা হয়, তা-ও বলেছে কেন্দ্র।
বিশাখাপত্তনমের গ্যাস দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি এবং হাজারখানেক মানুষের অসুস্থ হওয়ার পর সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিল্পসংস্থাগুলিকে কাজ শুরু করার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে রবিবার ওই নির্দেশিকায় এনডিএমএ-র আর্জি, নিজেদের কর্মীদের নিরাপত্তায় যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা বলবৎ করা উচিত শিল্পসংস্থাগুলির। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘বেশ কয়েক সপ্তাহের লকডাউনের ফলে এবং কলকারখানাগুলি বন্ধ থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা মেনে চলাটা সম্ভব না-ও হতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে, কিছু কলকারখানায় পাইপলাইন, ভাল্ভে হয়তো রাসায়নিক উদ্বৃত্ত থেকে যেতে পারে, যার থেকে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। যে সমস্ত গুদামঘরে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে, সে ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।’’ এই সমস্ত ক্ষেত্রে ওই কলকারখানা বা গুদামঘরের মালিকদের কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে এনডিএমএ। তাদের পরামর্শ, ‘‘কলকারখানা শুরু হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহটিকে একটি পরীক্ষামূলক সময় হিসাবেই ধরা উচিত। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যের বদলে কলকারখানায় যাতে সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা বলবৎ থাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
কলকারখানাগুলি কী কী সুরক্ষা ব্যবস্থা বলবৎ করবে? এ নিয়ে এনডিএমএ-র পরামর্শ, ‘‘কলকারখানাগুলিতে ২৪ ঘণ্টার স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা রাখা উচিত। এবং প্রতি দু’তিন ঘণ্টায় কমন এরিয়াতে বিশেষত, লাঞ্চ রুম প্রতি বার ব্যবহারের পর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।’’
আরও পড়ুন: সিকিমের সীমান্তে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে উত্তেজনা, জখম দু’পক্ষেই
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২০০০ ছাড়াল, আক্রান্ত প্রায় ৬৩ হাজার
আরও পড়ুন: বিবর্তিত হতে হতে করোনা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, বলছে গবেষণা
Ministry of Home Affairs (MHA) issues guidelines for restarting manufacturing industries after lockdown. "While restarting the unit, consider the first week as the trial or test run period; ensure all safety & protocols, & don't try to achieve high production targets", says MHA. pic.twitter.com/WC1l55LkVx
— ANI (@ANI) May 10, 2020
কর্মীদের নিরাপত্তায় দিকে খেয়াল রাখতে এবং তাঁদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে কলকারখানার যন্ত্রাংশগুলিতে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখলে, সে দিকে সঙ্গে সঙ্গে নজর দিতে বলেছে এনডিএমএ। ওই যন্ত্রাংশ থেকে কোনও গন্ধ বেরোলে, বা কোনও তার বার হয়ে থাকলে, লিকেজ হলে, ধোঁয়া বার হলে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রাখা উচিত বলে জানিয়েছে এনডিএমএ। এ ছাড়া, যে সমস্ত কলকারখানা সারাক্ষণ চলে, তাতে প্রতিটি শিফ্টের মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে কাজ করানো উচিত। সেই সঙ্গে, একটি শিফ্টে পরিচালনা এবং প্রশাসনিক স্তরের ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা উচিত বলেও মনে করে এনডিএমএ। পাশাপাশি, করোনা-সংক্রমণ এড়াতে দিনে দু’বার করে প্রতি কর্মীর দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। কোনও কর্মীর করোনার উপসর্গ দেখা দিলে, তাঁকে কর্মস্থলে আসতে বারণ করতেও পরামর্শ দিয়েছে এনডিএমএ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy