—ফাইল চিত্র।
নোভেল করোনার টিকা তৈরি করা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্য দিন নানা গুজব সামনে আসছে। আগামী ৭৩ দিনের মধ্যে ভারতবাসীর হাতে বিনামূল্যে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়ার তথ্যও তেমনই একটি গুজব। সোমবার বিবৃতি জারি করে সে কথা সাফ জানিয়ে দিল করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হওয়ার পর সরকারি ছাড়পত্র পেলে তবেই টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়ে দিল তারা।
করোনার প্রকোপে প্রতি দিন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা তরতর করে বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার সিরাম ইনস্টিটিউটের এক আধিকারিক জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭৩ দিনের মধ্যেই বিনামূল্যে করোনার টিকা হাতে পাবেন ভারতবাসী। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দু’দফার কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ। শনিবার মুম্বই, পুণে, আমদাবাদ-সহ দেশের ২০টি শহরে দেহে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২৯ দিন পরে ১,৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের দ্বিতীয় ডোজ পড়বে। তার পর পরীক্ষার ফলাফল জানতে আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে টিকা উৎপাদন এবং বণ্টনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এ দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাটাছেঁড়া শুরু হলে সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ৭৩ দিনে টিকা পৌঁছে দেওয়ার খবরটি ভুয়ো। অনুমানের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড টিকা মজুত করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হলে টিকা তৈরিতে যদি ছাড়পত্র মেলে, তবেই এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। মানবশরীরে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং করোনার বিরুদ্ধে এর প্রয়োগ নিশ্চিত ভাবে ফলপ্রদ হলে তবেই বাজারে আনা হবে এই টিকা।
আরও পড়ুন: বিকল্প নেতৃত্বের খোঁজে কংগ্রেস, সনিয়াকে চিঠি ২৩ নেতার, বৈঠক সোমবার
আরও পড়ুন: ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’, আমেরিকায় ভোট প্রচারে মোদীর ভিডিয়ো
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডিশ-ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকার সহযোগিতায় দেশে কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। চলতি মাসের শুরুতে তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ছাড়পত্র দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৬০০ মানুষের উপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে।সাধারণত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হতে ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে জরুরি ভিত্তিতে এখনই তাদের টিকা তৈরিতে ছাড়পত্র দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy