কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের এই পর্বে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে ঠিকই। তবে যে-সব জায়গায় করোনা সংক্রমণের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে, সেখানে কন্টেনমেন্ট এলাকায় কড়াকড়ি বজায় রাখতে রাজ্যগুলিকে বললেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। তিনি জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কন্টেনমেন্ট এলাকায় যেন ঢিলেঢালা ভাব দেখানো না-হয়।
বৃহস্পতিবার ওই ভিডিয়ো বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এ দিনের বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব প্রত্যেক রাজ্যকে করোনা-হাসপাতালের সংখ্যা, করোনা-শয্যার সংখ্যা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। হাসপাতাল, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং নার্সদের তৈরি রাখতে হবে। নজর দিতে হবে ভেন্টিলেশন, অক্সিজেন সরবরাহেও। ক্যাবিনেট সচিবের মতে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসা এবং লকডাউন শিথিল হওয়ার ফলে রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাধ্য। ফলে পরিকাঠামো তৈরি না-রাখতে পারলে সমস্যা বেড়ে যাবে।
ক্যাবিনেট সচিব বৈঠকে জানান, দীর্ঘ দিন বাইরে আটকে থাকার ফলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এ নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। এখন রাজ্যগুলির দায়িত্ব, শ্রমিকেরা ফিরলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা। ক্যাবিনেট সচিব জানান, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। তাই বলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরানোর প্রক্রিয়া থেকে সরকার সরে আসতে পারে না। রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে কোভিড প্রোটোকল মেনে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর পর্যালোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন নিয়ে মত জানতে অমিত শাহের ফোন মুখ্যমন্ত্রীদের
এ দিন রাজ্যগুলির করোনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সাফল্য নিয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ দেন ক্যাবিনেট সচিব। তাতে রাজ্যে কিছু অংশের আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই কিছু অংশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দিল্লি জানিয়েছে। রাজ্যের অবস্থান ‘মধ্যম’ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে নমুনা পরীক্ষা ও রোগীদের বাছাই করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্যের অবস্থান ভাল বলেই জানিয়েছে দিল্লি।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের থেকে ট্রেনের ভাড়া নেওয়া যাবে না, পরিযায়ী নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের
আজ, শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে করোনা পরিস্থিতি জানাতে যাবেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘‘এখন কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যেই করোনাকে আটকে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজতে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দিল্লির বিচারে অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় আমাদের অবস্থান ভাল।’’ করোনার মধ্যেই রাজ্যে আমপান আসায় বেজায় বিপদে পড়েছে রাজ্য। এ দিন সন্ধ্যায় আক্রান্ত ১৬টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্গঠন নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy