Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

বাড়িতে থাকার শর্ত ভাঙায় বাড়ছে বিপদ, অসমে চিন্তা ফের অসুস্থরাও

অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৩,৯২২। মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৩৫২।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুহায়াটি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০২
Share: Save:

বেশ কয়েক দফা নিয়ম মানার শর্তেই কোভিড পজ়িটিভ রোগীদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অসমে। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে চান, রাজ্য সরকার তাঁদের বিনামূল্যে পালস অক্সিমিটার ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও দিচ্ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে থাকা রোগীরা অনেক শর্তই মানছেন না। নিজেদের ও আত্মীয়দের জীবন বিপন্ন করছেন তাঁরা।

অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৩,৯২২। মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৩৫২। সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ শতাংশ। গুয়াহাটিতে এখন প্রতি দিন গড়ে ৬০০-র বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি পমি বরুয়া বলেন, “এক দিকে যেমন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিরা চিন্তা বাড়াচ্ছেন, তেমনই হোম আইসোলেশন বা কোয়রান্টিনে থাকা রোগীরা সমস্যা বাড়াচ্ছেন ডাক্তারের নির্দেশ না-মেনে। উপসর্গহীনদের মধ্যে অনেকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে মাঝপথে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। অনেকে স্বাস্থ্য দফতরের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যপরীক্ষার নিয়মাবলি মানছেন না। ফলে আচমকা শরীর ভেঙে পড়ছে বা তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালে আনার সময় মিলছে না।

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ ৯০ হাজার পার, ভারতকে বড় ধাক্কা করোনার

স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৬টি জেলায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষ হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করানোর বিকল্প বেছে নিয়েছেন। গুয়াহাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। তার মধ্যে ৫ হাজার রোগী বাড়িতেই থাকছেন। দেখা গিয়েছে, আইসোলেশন প্রোটোকল না-মানায় গুয়াহাটিতে হোম কোয়রান্টিনে থাকা রোগীদের ৩০ শতাংশকেই পরে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধানসচিব সমীর সিংহের তাই অনুরোধ, “হোম কোয়রান্টিনে থাকলেও ইচ্ছে মতো ওষুধ বন্ধ করবেন না। নিয়ম করে স্বাস্থ্য অবস্থার মনিটরিংও জরুরি।”

১০৪ হেল্পডেস্ক পরিষেবার নোডাল অফিসার পমি বলেন, আমরা নিয়ম করে বাড়িতে থাকা রোগীদের ফোন পাচ্ছি। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি পরিষেবা পৌঁছনোর আগেই অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। অনেকে হলফনামায় লিখেছেন, বাড়িতে বয়স্ক বা বাচ্চা নেই। দরকারে গাড়ি মিলবে ও ডাক্তারের ব্যবস্থাও রয়েছে। কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়িতে থাকা বয়স্ক বা অসুস্থদের তথ্য গোপন করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় গাড়ি বা ডাক্তার পাচ্ছেন না।

অসম পুলিশ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমীক্ষা অনুযায়ী, হোম কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ শতাংশই নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করছেন না। ১৭.৯ শতাংশের নিজের গাড়ি নেই। ৮.৭ শতাংশের বাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্ক বা অসুস্থ ব্যক্তি আছেন। ৪.৫ শতাংশের হোম কোয়রান্টিনের উপযুক্ত ঘর নেই। ২২.৩ শতাংশের নির্দিষ্ট পারিবারিক

চিকিৎসকও নেই।

এখনও পর্যন্ত অসমে ৪০২৯ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১৬ জন পুলিশকর্মী।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India COVID-19 Assam Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy