Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

‘করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে দেশ, ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে অতিমারি’

কমিটির মতে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ১ কোটি ৫ লক্ষের মতো।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২০
Share: Save:

রবিবারও দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬২ হাজার মানুষ। মৃত্যু ১ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত কমিটি জানিয়ে দিল, করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ শিখর পেরিয়ে এসেছে ভারত। এই ঘোষণার পরেই করোনা-যুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে।একই সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত সাবধানতা বজায় রেখেই এখনও চলতে হবে, পরামর্শ দিয়েছে ওই কমিটি। দেশের কয়েকটি আইআইটি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি নিয়োগ করেছিল সরকার।

সংক্রমণের শেষ কোথায়? ওই কমিটির মতে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে করোনার সংক্রমণ থামবে। বর্তমানে দেশে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লক্ষ। কমিটির মতে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ১ কোটি ৫ লক্ষের মতো। কমিটির এক সদস্য বলেছেন, ‘‘সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। তখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থাকবে খুব সামান্য।’’ তবে একই সঙ্গে কমিটির সাবধানবাণী, বড় জমায়েত সংক্রমণ এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।

২৫ মার্চ থেকে চার দফায় টানা ৬৮ দিন লকডাউন হয়েছে দেশে। তাকে ‘পরিকল্পনাহীন’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। সরকার নিযুক্ত এই কমিটি অবশ্য লকডাউনে লাভ হয়েছে বলেই মনে করছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১। কমিটির মতে, লকডাউন না হলে দেশে মৃতের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারত।  

২৫ মার্চ থেকে চার দফায় টানা ৬৮ দিন লকডাউন হয়েছে দেশে। তাকে ‘পরিকল্পনাহীন’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। সরকার নিযুক্ত এই কমিটি অবশ্য লকডাউনে লাভ হয়েছে বলেই মনে করছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১। কমিটির মতে, লকডাউন না হলে দেশে মৃতের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারত।

আরও পড়ুন: মোট আক্রান্ত প্রায় ৭৫ লক্ষ, দেশে ফের ২৪ ঘণ্টায় মৃত সহস্রাধিক

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যে, এক দিনে প্রায় ৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৬ হাজার ছুঁই ছুঁই

দেশে কোভিড সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি এবং তার প্রতিকারের উপায় খুঁজতে এই কমিটি নিযুক্ত করেছিল কেন্দ্র। কমিটির দায়িত্ব ছিল ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল’ নামে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা, যা দেশে করোনা অতিমারির প্রভাব ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারে। দেশ কোভিড সংক্রমণের চূড়া পার করে এসেছে— ওই গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণের পর এই দাবি করেছে কমিটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy