Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

শুধু লকডাউন আর কন্টেনমেন্ট জ়োন বানিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা চলবে না, রাজ্যকে কেন্দ্র

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে ওই বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় কর্তারা

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৫:০৪
Share: Save:

শুধু লকডাউন করে এবং কন্টেনমেন্ট জ়োন বানিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা চলবে না। এই সমস্ত পদক্ষেপে যাতে বেশি করে উপকার পাওয়া যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের স্বাস্থ্যকর্তাদের এমনই পরামর্শ দিল কেন্দ্র।

সূত্রের খবর, গত বুধবার ভিডিয়ো মাধ্যমে ওই বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগ, আইসিএমআর এবং এমসের শীর্ষ কর্তারা। পশ্চিমবঙ্গের তরফে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পশ্চিমবঙ্গের এক পদস্থ কর্তা এবং কল্যাণী এমসের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে ওই বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় কর্তারা। জুলাইয়ের গোড়া থেকে রাজ্যে সংক্রমণের হার চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বিশেষত গত এক সপ্তাহে তা আরও গতি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের যে এলাকাগুলিকে কোভিড-প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল— কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলি। পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর হার এক সময়ে জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। হিসেব বলছে, এখন দুই গড় প্রায় সমান-সমান। কেন্দ্রীয় কর্তারা যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও সূত্রটির দাবি।

বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্র বলেছে, কন্টেনমেন্টের সময়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং নজরদারি একান্ত প্রয়োজন। তা না-হলে কন্টেনমেন্ট ওঠার পরেই দ্রুত পরিস্থিতি আগের মতো হয়ে যাবে। সূত্রের দাবি, সংশ্লিষ্ট তিনটি রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই একই চিন্তার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। তাই কন্টেনমেন্ট পর্বে ঠিক কী করতে হবে, সে ব্যাপারে সম্যক পরিকল্পনার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নতুন সংক্রমণ ও তার উৎস দ্রুত চিহ্নিত করতে ফের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্তারা। কোভিড পজ়িটিভ ব্যক্তি সংক্রমণ ধরা পড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁদের শনাক্ত করে অবিলম্বে বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার যথাযথ ব্যবহারের জন্য এক জন করে সরকারি কোঅর্ডিনেটর নিয়োগ করার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। মুম্বই এবং দিল্লিতে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সুফল পাওয়া গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন কর্তারা।

আরও পড়ুন: তিন দিনে এক লাখ করোনা রোগী! দিশা কোথায়, প্রশ্ন উঠছে ১০ লক্ষ ছুঁয়ে

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy