গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৬ লক্ষ ৯ হাজার ৯১৭ জনের। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা প্রতিষেধক উৎপাদন ও বণ্টনেও সেই ‘আত্মনির্ভরতা’র ভাবনা তাঁর সরকারের।
করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে তা যাতে দ্রুত এবং সুলভে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে কেন্দ্র। ওই প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘মিশন কোভিড সুরক্ষা’। সে জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। নরেন্দ্র মোদী প্রশাসনের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘মিশন কোভিড সুরক্ষা’র প্রস্তাবিত খসড়া তৈরি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ বায়োটেকনোলজি বিভাগকে। এ দিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আজ জানা গিয়েছে, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ।
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির আশা চলতি বছরের শেষের দিকে দেশে চলে আসবে করোনা-টিকা। সেই সময় যেন প্রতিষেধকের ঘাটতি না-হয় সেই জন্যই এই প্রকল্প কেন্দ্র হাতে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি তৈরি করে সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘মিশন কোভিড সুরক্ষা’ এখনও প্রস্তাবের পর্যায়েই রয়েছে। অনুমোদন মেলেনি।
আরও পড়ুন: অনাহারে মৃত্যু যোগী-রাজ্যে, রিপোর্ট তলব
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ লাদাখে, মন্তব্য রাওয়তের
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
সরকারের সূত্রের খবর, খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘১২-১৫ মাসের মধ্যে যদি প্রতিষেধকের জোগান সুনিশ্চিত করতে হয়, তা হলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ-সহ তার আগের ধাপগুলির দিকে, প্রতিষেধক উৎপাদন, উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও বাড়তি নজর দিতে হবে। এই প্রতিটি বিষয় সুসংহত হওয়া প্রয়োজন।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
প্রস্তাবিত খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠনের লক্ষ্যে দেশবাসীর কাছে দ্রুত সুলভে নিরাপদ, ফলপ্রদ করোনা প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে হবে। শুধু দেশবাসী নয়, এই প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে হবে বিশ্ববাসীর কাছেও।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। দিন চারেক ধরে দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই ছিল। আজ অবশ্য সেই সংখ্যাটা ৬১ হাজার। গত ১০ দিনের তুলনায় আজ দেশে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৬ লক্ষ ৯ হাজার ৯১৭ জনের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও প্রায় দেড় সপ্তাহ পরে দেশে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৩ অগস্ট পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
করোনা-আক্রান্ত আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নাইকের অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। দিল্লির এমস থেকে চিকিৎসকদের একটি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দেখত পানজিমে গিয়েছেন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy