—ফাইল চিত্র।
সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই সনিয়া গাঁধীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয়েছিল। রাহুল গাঁধীও মায়ের সঙ্গেই বিদেশে। এখন কৃষি বিল নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আচমকা অস্ত্র পেয়ে যাওয়ায় সনিয়া-রাহুল বিদেশ থেকেই দলের নেতাদের নির্দেশ পাঠালেন, দেরি না করে মাঠে নেমে পড়ুন।
হাইকমান্ডের নির্দেশে সোমবার বিকেলে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক ডেকে কংগ্রেস বৃহস্পতিবার থেকেই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ‘গণ আন্দোলন’-এ নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সনিয়া বিদেশে যাওয়ার আগে ছ’জন কংগ্রেস নেতার কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। ওই কমিটিই এ দিন বৈঠক পরিচালনা করে। কমিটির সদস্য আহমেদ পটেল বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বর্তমান সভানেত্রী ও প্রাক্তন সভাপতির নির্দেশেই আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে। মোদী সরকার ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। সংসদের অধিবেশনে তা স্পষ্ট।’’
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এমনিতেই দলের মধ্যে সংগঠনকে চাঙ্গা করা, প্রতিটি স্তরে নেতৃত্বে সক্রিয়তার দাবি উঠেছিল। নড়েচড়ে বসার জন্য একটা কারণ দরকার ছিল। মোদী সরকার চাষিদের আপত্তি সত্ত্বেও কৃষি সংস্কারের বিল নিয়ে এসে তার সুযোগ করে দিল। এখন কংগ্রেসকে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রায় ২৫০ কৃষক সংগঠন ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। একই সময়ে আন্দোলনে নেমে কংগ্রেস নেতারা মোদী সরকার বিরোধিতাকে সর্বাত্মক চেহারা দিতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী মৃত্যুর তথ্য নিচ্ছে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন ডিজিটাল মিডিয়ায়, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘২৪ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ নেতারা সব রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষি বিলের পিছনে মোদী সরকারের আসল উদ্দেশ্য খোলসা করবেন। এর পর ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিটি রাজ্যে রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রপতির নামে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।’’ জেলা ও তার নিচু স্তরেও এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তীর দিন ‘কিসান মজদুর বাঁচাও দিবস’ পালন করে প্রতিটি জেলা সদর ও বিধানসভা কেন্দ্রের প্রধান এলাকায় ধর্না, বিক্ষোভ মিছিল হবে। এর পর ১০ অক্টোবর রাজ্য স্তরে কৃষক সম্মেলনের ডাক দেওয়া হবে।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এর মাধ্যমে দলীয় নেতৃত্বকে এককাট্টাও করা হবে। এআইসিসি-র সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আমরা ২ কোটি সই সংগ্রহে নামব। ১৪ নভেম্বর জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতির কাছে সই-সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy