Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Congress

‘হাত’ ছেড়েছেন নেতা, ৯ মাসেও জানল না কংগ্রেস, দেওয়া হল যুবনেতার পদও

নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও টনক নড়েনি কংগ্রেস নেতাদের। বরং ফোনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে হর্ষিতই বিষয়টি সামনে আনেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:১১
Share: Save:

গেরুয়া ঝড়ের সামনে ঘর সামলানোই দায় হয়ে উঠেছে। তাতে সাবধানী হওয়ার বদলে বারংবার নিজেদের হাসির খোরাক করে তুলছে কংগ্রেস। এ বার ন’মাস আগে দল ছেড়ে চলে যাওয়া এক নেতাকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত করে বসল তারা। এমন অভাবনীয় ঘটনায় স্তম্ভিত দলত্যাগী ওই নেতাও। তিনি জানিয়েছেন, এতেই বোঝা যায় দলের অন্দরে কী ঘটছে, তার খোঁজই রাখেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল নন তাঁরা।

মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বছরের শুরুতে বিজেপি-তে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেইসময় কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখান বেশ কয়েক জন জ্যোতিরাদিত্য অনুগামী। হর্ষিত সিঙ্ঘাই তাঁদের অন্যতম। সেই তিনিই গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর পক্ষে ১২টি ভোট বেশি পড়ে।

নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও টনক নড়েনি কংগ্রেস নেতাদের। বরং ফোনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে হর্ষিতই বিষয়টি সামনে আনেন। সংবাদমাধ্যমে হর্ষিত বলেন, ‘‘যুব কংগ্রেসের ওই পদটির জন্য তিন বছর আগে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কংগ্রেসের নির্বাচনটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের কেউই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী নন। সিন্ধিয়াজির সঙ্গে গত ১০ মার্চ দল ছেড়েছিলাম। আর এখন যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলাম।’’

আরও পড়ুন: কাল হল স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবি তোলা! রহস্যমৃত্যু করিমা বালোচের​

হর্ষিত আরও বলেন, ‘‘সিন্ধিয়াজি-র সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর নিজেই অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যুব কংগ্রেসের ওই নির্বাচন থেকে আমার নাম সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। ফের ফোনে যোগাযোগ করলে বলা হয় ইমেলে দল ছাড়ার কারণ লিথে জানাতে। কমলনাথ এবং রাহুল গাঁধী, দু’জনকেই তা নিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। মধ্যপ্রদেশে যুব কংগ্রেসের এমনই অবস্থা। যাঁরা দলেই নেই, তাঁদের নির্বাচিত করা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন হরিদ্বারে, গ্রেফতার অভিযুক্ত​

হর্ষিত বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্য মুখ খোলার পর কংগ্রেসের তরফে তড়িঘড়ি নিয়োগ বাতিল করা হয়। দলের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে পাল্টা হর্ষিতকেই দোষারোপ করেছেন মধ্যপ্রদেশ যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কুণাল চৌধরি। তাঁর অভিযোগ, মিথ্যে বলছেন হর্ষিত। মনোনয়নপত্র কখনওই তুলে নেননি তিনি। ভুল চোখে পড়তেই ওঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE