দুই আত্মঘাতী ছাত্রছাত্রী রোহিত ভেমুলা ও পায়েল তাড়ভি। -ফাইল ছবি।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জাতিবৈষম্য চলছে কি না, এ বার তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র, সবক’টি রাজ্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ (ন্যাক)-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে।
জাতিবৈষম্যের শিকার হয়ে আত্মঘাতী রোহিত ভেমুলা ও পায়েল তাড়ভির মায়েরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। শুক্রবার তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র, সবক’টি রাজ্য সরকার এবং ইউজিসি, ন্যাক-এর বক্তব্য জানতে চাইল বেঞ্চ।
রোহিত ও পায়েলের মায়েদের তরফে কৌঁসুলি ইন্দিরা জয়সিংহ এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘ডিম্ড বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাড়াও দেশে ২৮৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু জাতিবৈষম্যের ঘটনার উপর নজর রাখতে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনও পর্যন্ত কোনও ইক্যুইটি কমিশন গড়ে তোলা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট যে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জাতিবৈষম্যের ঘটনার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এ দিন তা মনে করিয়ে দেন কৌঁসুলি জয়সিংহ।
আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলা তপ্ত, অসুস্থ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
আরও পড়ুন- ফের ঘেরাও রেজিস্ট্রার
জয়সিংহ বলেন, ‘‘তার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, যা চোখে দেখা যায়। এ বার তাই আদালত এগিয়ে আসুক, যাতে সুপ্রিম কোর্ট যা চাইছে, তা যেন কার্যকর হয়।’’
জাতিবৈষম্য ও তার জন্য নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়ে আত্মঘাতী হন চিকিৎসক পায়েল তাড়ভি। তিনি একটি ‘সুইসাইড নোট’ও লিখে যান। জাতিবৈষম্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়নের যন্ত্রণায় ২০১৬ সালে হায়দরাবাদে আত্মঘাতী হন রোহিত ভেমুলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy