রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিল সিএজি রিপোর্ট— ফাইল চিত্র।
রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে সিএজি-র (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) নিশানায় কেন্দ্র। ফরাসি বিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘অফসেট চুক্তি’ (দেশীয় সংস্থাকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করে যন্ত্রাংশ নির্মাণ) সংক্রান্ত প্রক্রিয়া কেন এখনও সম্পন্ন হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সিএজি রিপোর্টে। সংসদে বাদল অধিবেশনের অন্তিম পর্বে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ফলে সংসদের অন্দরে বিতর্কের অবকাশ আর নেই।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)-র সঙ্গে সম্পাদিত ‘অফসেট চুক্তি’র শর্ত এখনও দাসো অ্যাভিয়েশন পূরণ করেনি বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। রাফাল কেনার শর্ত অনুযায়ী চুক্তির মোট অঙ্কের একাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে ভারতে আসার কথা। কিন্তু এখনও ফরাসি সংস্থাটির তরফে সেই প্রতিশ্রুতি পালনের উদ্যোগ দেখা যায়নি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৫৮,০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ও তাতে ব্যবহৃত অস্ত্র কেনার জন্য দাসো অ্যাভিয়েশন ও ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা সংস্থা এমবিডিএ-র সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছিল। এরপর সই হয় চুক্তি। সিএজি তার রিপোর্টে বলেছে, দাসো এবং এমবিডিএ সংস্থা প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দেবে।
আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী শেখর বসু
ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য 'কাবেরী' নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। সংসদে পেশ করা রিপোর্টে সিএজি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দাসো এই প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়নি। এমনকি, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেওনি।
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তির পরেই তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী অভিযোগ করেছিলেন, মোদীর সরকারের সুপারিশেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’কে বঞ্চিত করে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্সের সঙ্গে একটি অফসেট চুক্তি করেছে দাসো। এই পরিস্থিতিকে সিএজি রিপোর্ট সামনে আসায় বিষয়টি নিয়ে ফের রাজনীতিতে বিতর্ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিল ফেরাতে রাষ্ট্রপতিকে ১৭টি বিরোধী দলের চিঠি, ধর্না-ঐক্যে ফাঁক
বহু ক্ষেত্রেই বিদেশি সংস্থা চুক্তি সইয়ের সময় দেশীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে বিষয়ে দায়বদ্ধতা দেখায় না বলে সিএজি-র অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চুক্তির সময় তার বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ভাল ভাবে পর্যালোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দাসোর তরফে ইতিমধ্যেই ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে অফসেট-বাধ্যবাধকতা পূরণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। যদিও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ফ্রান্স থেকে উড়ে এসে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছে পাঁচটি রাফাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy