Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত দিল্লি, ভাঙচুর স্কুলবাসে

এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সিলামপুর এলাকায় দিল্লির হাজার দুয়েক সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় জড়ো হন।

ফের নয়া নাগরিক আইনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হল দিল্লির রাস্তা। ছবি: পিটিআই

ফের নয়া নাগরিক আইনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হল দিল্লির রাস্তা। ছবি: পিটিআই

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫০
Share: Save:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের মঙ্গলবার রণক্ষেত্র উঠল দিল্লির রাজপথ। ওই আইন বিরোধিতায় পথে নামা প্রতিবাদীদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধল সিলামপুর এলাকায়। ঘটনার জেরে আপাতত সাতটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদসংস্থার সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সিলামপুর এলাকায় দিল্লির হাজার দুয়েক সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় জড়ো হন। প্রতিবাদীরা জামিয়ার ছাত্র নিগ্রহের ঘটনার নিন্দায় সরব হন। পুলিশের দাবি, বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মারে। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও। মুহূর্তে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। একটি স্কুল বাসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি পুলিশ পিকেটে। ইটবৃষ্টি থামাতে লাঠিচার্জ করতে থাকে পুলিশ। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার জেরে দু’জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।

তড়িঘড়ি জোহরি এনক্লেভ, শিববিহার-সহ মোট সাতটি মেট্রো স্টেশনের দরজা বন্ধ করে দেন দিল্লি মেট্রোরেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয় সিলামপুর-জাফরবাদের রাস্তাও। জাফরবাদেও জমায়েত হয় বহু সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন:মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কংগ্রেস, সিএএ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন:গায়ের জোরে যা ইচ্ছা তাই করছে বিজেপি, মিছিল থেকে তোপ মমতার

গত শুক্রবার থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সরব জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তবে রবিবার বিক্ষোভকারীরা পথে নামলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় বহু সাধারণ মানুষ। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে ধ্বংসাত্মক চেহারা নেয় নিউদিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি। ওই বিকেলে একের পর এক বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

ওই দিন রাতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর লাঠিচালনা করলে, প্রতিবাদে মুখর হয় গোটা দেশের ছাত্রসমাজ। ধুন্ধুমার চলে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও। জামিয়ার ছাত্রদের সমর্থনে সেই রাত থেকেই পথে নামে দেশের অগ্রণী ক্যাম্পাসগুলির ছাত্ররা। নিন্দায় সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলিও। জামিয়া মিলিয়া এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিশি অভিযান নিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ এবং কলিন গনসালভেস। এদিন মামলাটি কোর্টে উঠলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা। হাইকোর্টে আবেদন করুন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy