বড়ো চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সই করল সরকার। বড়োল্যান্ড ইস্যুতে দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চলে আসা অশান্তি থামাতেই এই উদ্যোগ, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সোমবার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং বড়ো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনডিএফবির চারটি শাখা সংগঠন। ছিল অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা আবসুও। অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, এই চুক্তির ফলে বড়ো জনজাতির সার্বিক উন্নয়ন হবে। নিশ্চিত হবে ভাষা ও ভূমির অধিকার।
অমিত শাহ এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭২ সাল থেকে আবসু বড়োল্যান্ডকে আলাদা করতে চাইছে। আন্দোলন প্রথম দশকে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।এখন এই চুক্তি হওয়ায় বড়ো জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে।’’
এই চুক্তি অনুযায়ী, বড়ো জঙ্গির প্রতি সহানুভূতিশীল হবে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ১৫০০ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁদের আধা সামরিক বাহিনীতে জায়গা দেওয়া হবে। নিহত বড়ো জঙ্গিদের স্ত্রীরা পাঁচ লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান পাবেন।
আরও পড়ুন:নিজের সন্তানকে এ ভাবে কেন খুন করলেন মা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা
আরও পড়ুন:‘রাগ নিয়ে নয়...’, শাহিনবাগ নিয়ে শাহের মন্তব্যের উত্তর ফেরালেন প্রশান্ত কিশোর
চুক্তিতে আরও বলা হচ্ছে, বিটিএবি এলাকাকে বোরোল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিয়ন নামে চিহ্নিত করা হবে। পার্বত্য আদিবাসীর মর্যাদা পাবেন এখানকার বাসিন্দারা। বোরো ভাষাকে দেবনাগরীর হরফ সহকারে অসমেয়র অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজেরও মর্যাদা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নতিতে ৩ বছরে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করবে। ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র। এই এলাকায় কোনও বহিরাগত ভোটাধিকার পাবে না। বাইরে থেকে কাজ করতে এলে লাগবে ওয়ার্ক পারমিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy