Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Satya Pal Singh

আসল কারণ কি বললেন সত্যপাল

অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও কড়াকড়ি করে সংসদে বিল আনতেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকারের সমালোচনায় এনজিও-দের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।

বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিংহ। ছবি সংগৃহীত।

বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিংহ। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২১
Share: Save:

ধর্মান্তরকরণ ও বিভিন্ন এনজিও-র সরকারি নীতির বিরোধিতা রুখতেই কি বিদেশি অনুদানে রাশ টানতে চাইছে মোদী সরকার! বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় আজ বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিংহ নিজেই সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন। বিলের পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘‘আমরা জানি উত্তর-পূর্বে কী ভাবে গত ৫০ বছরে একটি বিশেষ ধর্মের মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।’’ খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তর করার অভিযোগ তুলে গ্রাহাম স্টেনসের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি। বিদেশি অনুদানের টাকায় উত্তর-পূর্বে জঙ্গি-আন্দোলনেও মদত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন সত্যপাল।

অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও কড়াকড়ি করে সংসদে বিল আনতেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকারের সমালোচনায় এনজিও-দের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আজ বিলের পক্ষে বিজেপির প্রধান বক্তা সত্যপালের যুক্তিতে নতুন অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নের মুখে লোকসভায় বিল করানোর আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এই আইন কোনও বিশেষ ধর্ম, এনজিও-র বিরুদ্ধে নয়।’’

তাতে অবশ্য অভিযোগ কমেনি। কংগ্রেস নেতা অ্যান্টো অ্যান্টনিরও অভিযোগ, এই বিলে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদেশি অনুদান নিয়ে দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করে। সেখানে বাধা পড়বে। তৃণমূলের সৌগত রায় অভিযোগ তোলেন, এই আইন কাজে লাগিয়ে মাদার টেরিজার ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’কেও মোদী জমানায় হেনস্থা করা হয়েছে। জর্জ অরওয়েলের ‘নাইনটিন এইটিফোর’ উপন্যাসের প্রসঙ্গ টেনে সৌগত বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বসে থাকা ‘বিগ ব্রাদার’ নজরদারি বাড়াতে চাইছেন। বিদেশি অনুদান পাওয়া সংস্থাগুলিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাদাখ নিয়ে বার্তা দিতে সেনা-বৈঠকে আমলাও

আরও পড়ুন: তবলিগি জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে: কেন্দ্র

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র একে মোদী সরকারের ‘দ্বিচারিতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘মোদী সরকার বিদেশি মালিকানাধীন সংস্থাগুলিকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু ছোট ছোট এনজিও-দের নিশানা করছে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কাজে বিদেশি অর্থ খরচ করার সীমা ৫০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।’’ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, ‘‘এর ফলে বহু এনজিও বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক লোক কাজ হারাবেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy