Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Babri Masjid

বাবরি কাণ্ড: ফাঁসি হলে আশীর্বাদ বলে মেনে নেব, বললেন উমা ভারতী

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিলেন করসেবকরা। তাঁদের দাবি ছিল, ওই স্থানে রাম মন্দির ছিল।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসে প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত উমা ভারতী। —ফাইল চিত্র।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসে প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত উমা ভারতী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ২০:২৯
Share: Save:

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই শুনানি চলছে মসজিদ ধ্বংস মামলার। কিন্তু এ নিয়ে তিনি একেবারেই চিন্তিত নন বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। মসজিদ ধ্বংসে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু উমার বক্তব্য, বাবরি কাণ্ডে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলেও, তা আশীর্বাদ বলে মেনে নেবেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুতেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় শুরুতেই লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন উমা। তা নিয়ে শনিবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘বয়ান রেকর্ডের জন্য ডাকা হয়েছিল আমাকে। আদালতে গিয়ে যা সত্য, তাই বলেছি। আদালতের রায় কী হবে, তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই আমার। যদি ফাঁসিতেও ঝোলানো হয়, তা আমার কাছে আশীর্বাদ। যেখানে জন্মেছি, অন্তত সেখানকার মানুষ তো খুশি।’’

দেশ জুড়ে করোনা সঙ্কটের মধ্যে রামমন্দির নির্মাণকে ঘিরে ব্যাপক তোড়জোড়— এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ার কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘কিছু লোক ভাবছেন, মন্দির নির্মাণ হলে হয়তো করোনা পালিয়ে যাবে।’’ কিন্তু তাঁর মন্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে নারাজ উমা ভারতী। বরং মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় পৌঁছলে শরদ পাওয়ারকে ‘শ্রীরাম, জয়রাম’ ধ্বনি দিতে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ, রয়েছেন হাসপাতালে​

আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে ধর্না রাষ্ট্রপতি ভবনে’, ঘোষণা গহলৌতের​

আগামী ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সে প্রসঙ্গে উমা ভারতী বলেন, ‘‘৫ হাজার বার জন্ম এবং অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন, দু’টির মধ্যে একটি বেছে নিতে বললে, আমি দ্বিতীয়টিকেই বেছে নেব। ওই দিন আমি অযোধ্যায় থাকব কি না, সেটা অত গুরুত্বপূর্ণ নয়। মোদীজি ওখানে যাবেন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, সেটাই বড় কথা।’’

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিলেন করসেবকরা। তাঁদের দাবি ছিল, ওই স্থানে রাম মন্দির ছিল। সেই ঘটনায় লালকৄষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। দীর্ঘ দিন ধরে মামলাটি ঝুলতে থাকায়, এ বছর ৩১ অগস্টের মধ্যে মামলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE