জয়পুর থেকে বিধায়কদের জয়সলমেরে পাঠালেন অশোক গহলৌত। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ‘সাংবিধানিক রীতি’-র দোহাই দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য ২১ দিন সময় নিয়েছেন। এ দিকে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, রাজস্থানের আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির ‘মধ্যস্থতায়’ বিদ্রোহী নেতা সচিন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত শুক্রবার তাঁর শিবিরের বিধায়কদের রাজধানী জয়পুরের হোটেল থেকে মরুশহর জয়সলমেরের রিসর্টে পাঠিয়ে দিলেন।
হোটেল থেকে বাসে চড়িয়ে আজ গহলৌত শিবিরের বিধায়কদের জয়পুর এয়ারপোর্টে আনা হয়। সেখান থেকেই জয়সলমেরের উড়ান ধরেন তাঁরা। রাজ্যপালের নির্দেশে আগামী ১৪ অগস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, ১৭ অগস্ট বিধানসভায় আস্থাপ্রস্তাব পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত। তাঁর শিবিরের খবর, সরকার পক্ষের ১০২ জন বিধায়ককে বিধানসভা অধিবেশন পর্যন্ত কয়েকটি আলাদা ঠিকানায় রাখা হবে।
অশোক গহলৌত বৃহস্পতিবার ফের বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, সচিন শিবিরের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও বিধানসভা অধিবেশনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে সচিন পাইলট শিবির নতুন করে নিশানা করেনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে। বরং রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তাঁর উত্তরসূরি গোবিন্দ সিংহ দোতারসাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সচিন। এমনকি, বিদ্রোহী শিবিরের ১৯ জনকে বরখাস্ত করার নোটিস পাঠানো স্পিকার সি পি জোশীকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভুটানেও এলাকা দাবি চিনের, ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বেজিং, বলল আমেরিকা
গহলৌত শিবিরের সমস্যা আরও বাড়িয়েছে, বিএসপির ছ’জন বিধায়কের কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জোধপুর হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘‘বিএসপি একটি জাতীয় দল। তাই দলের প্রতীকে নির্বাচিত বিধায়কেরা এ ভাবে কংগ্রেসে মিশে যেতে পারেন না।’’ এই আবেদনের শুনানির জন্য ইতিমধ্যেই নোটিস জারি করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্নের সময়সীমা ফের বাড়ল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy