এমনই প্রতিরক্ষা মহড়া হয় রাশিয়ায়। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তান বরাবরের শত্রু। গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর চিনের সঙ্গেও সঙ্ঘাত চরমে। এই পরিস্থিতিতে বেজিং-ইসলামাবাদ যোগ দেওয়ায় রাশিয়ার আয়োজিত বহুজাতীয় প্রতিরক্ষা মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না ভারত। বিদেশমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ)-র উপস্থতিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাউথ ব্লক সূত্রে খবর। যদিও এই বৈঠকের আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, মহড়ায় যোগ দেবে ভারত। সেই মতো প্রস্তুতিও চলছিল।
আগে শুধুমাত্র রাশিয়া এবং কোনও কোনও বছর প্রতিবেশী দু’-একটি দেশ এই মহড়ায় অংশ নিত। ২০১৮ সালে তার বহর বাড়িয়ে বহুজাতিক করা হয়। তার পর থেকেই বহু দেশ অংশ নেয় ওই মহড়ায়। এ বছর ‘ক্যাভকাজ ২০২০’ নামে ওই মহড়া হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরে। সেই মতো ভারত, পাকিস্তান, চিন-সহ মোট ১৯টি দেশকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল রাশিয়া। নয়াদিল্লির আমন্ত্রণে ছিল সেনাবাহিনীর ১৫০ জন প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার আবেদন। মহড়ায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
কিন্তু এর মধ্যেই শি চিনফিং এবং ইমরান খানের বাহিনী যে এই মহড়ায় যোগ দিচ্ছে, সেই বার্তা স্পষ্ট হয়। তার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং এনএসএ অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত-সহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ওই মহড়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রুশ আমন্ত্রণ ভারত গ্রহণ করবে না— এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের একটি উচ্চপদস্থ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লাদাখে সেনা সংঘর্ষের পর চিনের সঙ্গে আর আগের মতো স্বাভাবিক আচরণ করা ঠিক হবে না। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের যুদ্ধের মহড়ায় বেজিং-ইসলামাবাদের সঙ্গে অংশ নিলে আন্তর্জাতিক মহলে অপ্রত্যাশিত বার্তা যাবে।
আরও পড়ুন: ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো পরিষেবা চালুর অনুমতি দিল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দেওয়া হবে, চিঠি লিখে রাজ্যগুলিকে জানাল কেন্দ্র
পূর্ব লাদাখ জুড়ে চিনের সেনা মোতায়েন এবং তার জেরে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের জেরে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বেজিং-নয়াদিল্লি সম্পর্কে প্রবল তিক্ততা তৈরি হয়েছে। সেই সংঘাত এখনও শেষ হয়নি। অন্য দিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত বরাবরই ছিল। ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, গত বছর এয়ার স্ট্রাইক, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইসালমাবাদ-নয়াদিল্লি সম্পর্কেও তপ্ত বাতাবরণ। এই পরিস্থতিতে সেই দুই দেশের সঙ্গে একই মঞ্চে গিয়ে প্রতিরক্ষা মহড়ায় যোগ দেওয়া ভারতের পক্ষে তীব্র অস্বস্তিকর। সেই অস্বস্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy