তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের কাশ্মীর-মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল ভারত (ছবিতে, বাঁ-দিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার)। —ফাইল চিত্র।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ নয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গে শনিবার ফের তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত। কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তা-ও ফের এক বার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের কাশ্মীর-মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তা প্রত্যাখ্যান করতেও ছাড়েনি ভারত।
এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাকে কোনও ভাবেই এ দেশ থেকে আলাদা করা যায় না। এ প্রসঙ্গে উল্লিখিত (রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের) সমস্ত মন্তব্যই প্রত্যাখ্যান করছি।” কাশ্মীর বিষয়টি বোঝার জন্য তা নিয়ে যে গভীর উপলব্ধির প্রয়োজন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রবীশ কুমার। এর্ডোয়ানের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‘তুরস্ক প্রধানের উদ্দেশে বলছি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। বিষয়টি জানতে যথাযথ ভাবে তথ্যাদি উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। কী ভাবে পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাস ভারত এবং তার আশপাশের অঞ্চলে উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, তা-ও বুঝতে হবে।’’
কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের অবস্থানকে বরাবরই সমর্থন জুগিয়ে এসেছে তুরস্ক। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এ বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোয়ান। গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ভারতের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ফের একই পথে হেঁটেছেন এর্ডোয়ান। পাকিস্তান সফরে গিয়ে শুক্রবার ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এর্ডোয়ান বলেন, ‘‘দ্বন্দ্ব আর অত্যাচার দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না। একমাত্র সুবিচার আর সাম্যের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কাশ্মীর যতটা আপনাদের (পাকিস্তান) হৃদয়ের কাছের, ততটাই আমাদেরও।’’ শুধু তা-ই নয়, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রসঙ্গেও এর্ডোয়ানের মন্তব্য, ‘‘আমাদের কাশ্মীরি ভাইবোনেরা দশকের পর দশক অসুবিধায় ভুগছেন। এবং সম্প্রতি একতরফা ভাবে পদক্ষেপ করায় তাঁদের সেই অসুবিধা আরও বেড়েছে।’’ কাশ্মীর সমস্যা সমাধানেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। এর্ডোয়ান বলেন, “আজ কাশ্মীর ইস্যুটি আপনাদের মতো আমাদেরও অত্যন্ত কাছের। ন্যায়বিচার এবং নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সমাধান হলে, তা সমস্ত পক্ষেরই স্বার্থরক্ষা করবে। ন্যায়বিচার, শান্তি এবং আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সব সময়ই তুরস্ককে পাশে পাবেন।”
আরও পড়ুন: ওমর, মেহবুবার পর এ বার পিএসএ-তে আটক শাহ ফয়জলও
আরও পড়ুন: ‘মাথায় একটা বাড়ি পড়েছে, তাতেই এত কথা, এত রাজনীতি!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy