—ফাইল চিত্র।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় এক সপ্তাহ পর জামিন পেলেন সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। বুধবার তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু অর্ণবই নন, ওই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দু’জনেরও জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। অবিলম্বে অর্ণবকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্ণব এবং আরও দুই ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকা না পেয়ে ২০১৮ সালে অন্বয় নায়েক নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে সকলের নামও উল্লেখ করে গিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে অর্ণব এবং বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছিল। শুরুতে প্রমাণের অভাবে সেই মামলা বন্ধ করে দেওয়ার পর, এ বছর ফের নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু হয়। তাতে গত ৪ নভেম্বর অর্ণব এবং অন্য দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সেই নিয়ে এর আগে বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন অর্ণব। সেখানে আবেদন খারিজ হয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। নিম্ন আদালতকে জামিনের শর্তাবলী নির্ধারণ করার দায়িত্ব দিলে, আরও সময় লেগে যেত। তার জন্য ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শীর্ষ আদালতই অর্ণবের জামিন মঞ্জুর করে দেয়।
আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে শান্তি ফেরাতে ঐকমত্যে ভারত-চিন, সেনা পিছনোর যৌথ নজরদারি আকাশপথে
এ দিন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অর্ণবের জামিনের শুনানি চলছিল। তলোজা জেল কর্তৃপক্ষ এবং কমিশনারের উদ্দেশে আদালত জানায়, অর্ণবকে ছেড়ে দেওয়ায় দু’দিন দেরি হোক তা চায় না আদালত। তাই ব্যক্তিগত বন্ডে ওঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। অবিলম্বে ওঁকে ছেড়ে দিতে হবে।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমি অর্ণবের চ্যানেল দেখি না। আমাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সাংবিধানিক আদালতকে স্বতন্ত্রতা রক্ষায় নামতেই হবে। নইলে ক্রমশ ধ্বংসের পথে এগোব আমরা।’’
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর
অর্ণবের হয়ে এ দিন আদালতে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অর্ণব কি সন্ত্রাসবাদী? ওঁর বিরুদ্ধে কি খুনের অভিযোগ রয়েছে? কেন জামিন দেওয়া হচ্ছে না ওঁকে?’’
সেই সূত্র ধরে বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, কারও কাছ থেকে পাওনা না পেয়ে কেউ যদি দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেন, সেটা কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে আদৌ ধরা উচিত কি না। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এই মামলায় অর্ণবকে জামিন না দিলে সেটা কি অবিচার হবে না?’’ ভারতের গণতন্ত্রের যা পরিব্যপ্তি, তাতে টেলিভিশনে কে কী মন্তব্য করলেন, তা এড়িয়ে চলা শ্রেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারকেও একহাত নেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন ‘‘কোনও ব্যক্তিকে নিশানা করার আগে রাজ্যের বোঝা উচিত যে, সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করার জন্য রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টেগুলিকেও বলব, আইনের এক্তিয়রে থেকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা করতে সচেষ্ট হোন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy