ফাইল চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব-লাদাখ অঞ্চলের প্রায় হাজার বর্গকিলোমিটার জমি বেহাত হওয়ার জোগাড়। গত ছ’মাস চিনের সেনা থানা গেড়ে বসে রয়েছে সেখানে। এই মহাসঙ্কটের সময় নভেম্বর মাসে বার তিনেক মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর। তিন বারই সাক্ষাৎ হবে ভিডিয়োয়।
চলতি মাসে পাঁচটি আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক সম্মেলন হবে। যার মধ্যে তিনটিতে উপস্থিত থাকার কথা ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বহুপাক্ষিক বৈঠকগুলি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ছায়ায় রাহুগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। কারণ গালোয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর এই প্রথম মুখোমুখি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মোদী এবং চিনফিং-এর। গোটা অঞ্চলের তো বটেই আমেরিকা-সহ পশ্চিম বিশ্বেরও নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসবে এই আলোচনা।
রাশিয়ার আয়োজনে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রনেতাদর বৈঠক ১০ নভেম্বর। এরপর ১৭ নভেম্বর ব্রিকস গোষ্ঠীর নেতাদের বৈঠক। ২২ এবং ২৩ নভেম্বর জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সম্মেলন। এই তিনটি বহুপাক্ষিক বৈঠকেই হাজির থাকার কথা মোদী এবং শি-র। এ ছাড়া ১৩ নভেম্বর রয়েছে আসিয়ান-ভারত সম্মেলন। এসসিও-র হেড অব কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা চলতি মাসের শেষে।
এই সম্মেলনগুলিতে এর আগে পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পার্শ্ববৈঠক হত দ্বিপাক্ষিক স্তরে। অনেক জট ছাড়ানোর মঞ্চ হিসেবে রাষ্ট্রনেতারা তৃতীয় দেশে আয়োজিত বহুপাক্ষিক বৈঠকগুলিকে কাজে লাগাতেন। যেমন, গত কয়েক বছর ধরেই মূল ব্রিকস-এর আলোচ্যসূচির তুলনায় বেশি কূটনৈতিক প্রাধান্য পেয়েছে ভারত এবং চিনের নেতাদের পার্শ্ববৈঠক। কিন্তু অতিমারির কারণে এই বছর যাবতীয় বৈঠক হচ্ছে ভিডিয়ো মাধ্যমে। ফলে আলাদা করে দু দেশের নেতার মধ্যে কোনও বৈঠক হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে একই মাসে তিন বার মোদী-শি মুখোমুখি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, সীমান্ত নিয়ে চলতি আলোচনায় তার প্রভাব পড়ে কি না সে দিকে নজর রাখছেন কূটনীতিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy