রাফাল বিতর্কে ফের অজিত ডোভালের নাম উঠল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাফাল বিতর্কে ফের উঠে এল দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম। বিমানের দাম বাড়াতে তিনিই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ তুললেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ। তাঁর দাবি, ডোভালের চাপাচাপিতেই বিমানের দাম প্রায় ২ হাজার ৮ কোটি টাকা বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নয় বরং মোদী সরকারের হয়ে অজিত ডোভালই ৩৬টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তিতে সিলমোহর দেন বলে, এর আগেও কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়।
সোমবার পুণে-তে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাফাল যুদ্ধিবিমানের দাম ৩২০ কোটি ডলার বাড়াতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন অজিত ডোভাল, যার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উনি। বিমানের দাম নির্ধারণে কোনও ভূমিকাই থাকার কথা নয়। দরদাম করার জন্য আলাদা কমিটি ছিল।’’
পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ জানান, ‘‘দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়নি ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল(ডিএসি)। মনোহর পর্রীকরের জন্যই তা সম্ভব হয়েছিল। উনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অস্বীকার করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিন-তিনটি বৈঠক হয় ডিএসি-র। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন পর্রীকর। যার পর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। তাতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’
আরও পড়ুন: ২২ লক্ষ শূন্যপদে চাকরি, গরিবদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৭২ হাজার, ইস্তাহার প্রকাশ কংগ্রেসের
যুদ্ধবিমানের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ভূমিকা নাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পৃথ্বীরাজ। কিন্তু চোখের সামনে সব ঘটতে দেখেও চুপ করেছিলেন তাঁরা। তাই তাঁদেরও দুর্নীতির দায় নিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
হিন্দুস্তান এরোনটিক্যাল লিমিটেড (হ্যাল)-এর বদলে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দেওয়া নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। সে নিয়ে পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ জানান, ‘‘ইউপিএ আমলে ফরাসি সংস্থা দাসোঁর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে ১৮টি যুদ্ধবিমান তৈরি করার কথা ছিল দাসোঁর। বাকি ১১৮টি তৈরি করার কথা ছিল হ্যাল-এর। তার জন্য নিজেদের প্রযুক্তি হ্যালকে হস্তান্তর করতে তৈরি ছিল দাসোঁ। প্রমাণ স্বরূপ সংস্থার সিইও-র ভিডিয়োও সামনে আনা যেতে পারে। তবে পরবর্তীকালে সরকার বদলের ইঙ্গিত পেয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করে তারা।’’
আরও পড়ুন: আচরণবিধি লঙ্ঘন, কল্যাণ সিংহের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন
যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে এসেছে মোদী সরকার। বরং ইউপিএ আমলের চেয়ে কম দামে বিমান মিলছে বলে দাবি তাদের। সেই সঙ্গে ইউপিএ আমলে সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া গেলে ঢের আগেই রাফাল চুক্তি হয়ে যেত বলেও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তারা। কিন্তু পৃথ্বীরাজের কথায়, ইউপিএ সরকার চেয়েছিল বিমান ভারতেই তৈরি হোক। তা নিশ্চিত করতে গিয়েই দেরি হয়ে গিয়েছিল।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy