Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Hindi

দেশ জুড়ে সমালোচনার জের, হিন্দি বাধ্যতামূলক নয়, চাপের মুখে জাতীয় খসড়া নীতিতে সংশোধন

জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের সর্বত্র, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাতে শামিল হয় এনডিএ-র শরিক এডিএমকে এবং পিএমকেও।

সমালোচনার মুখে পড়ে খসড়া সংশোধন সরকারের।

সমালোচনার মুখে পড়ে খসড়া সংশোধন সরকারের।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ১৩:৫১
Share: Save:

দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে পড়ুয়াদের জন্য হিন্দি আর বাধ্যতামূলক রইল না। বরং শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নেওয়া যাবে।

সোমবার সকালে শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দি বাধ্যতামূলক করার বদলে তাতে ‘নমনীয়’ শব্দটি যোগ করা হয়, যার ফলে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে নিজেদের পছন্দ মতো ভাষা বেছে নিতে পারবে পড়ুয়ারা। সংশোধিত নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘‘ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীনই তিনটি ভাষার মধ্যে একটি বা তার বেশি ভাষার পরিবর্তন করতে পারবে পড়ুয়ারা।’’ এ ব্যাপারে পড়ুয়ারা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিতে পারবে বলেও জানানো হয় সংশোধিত খসড়ায়। যে ভাষায় স্কুলে পড়ার সুবিধা, সেটাই বেছে নেওয়া যাবে বলে সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ককে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব সঁপেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পরেই গত শনিবার কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটি জাতীয় খসড়া শিক্ষা নীতি পেশ করে। সেখানে তিন ভাষার ফর্মুলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যার মধ্যে মাতৃভাষা, ইংরেজির পাশাপাশি বাধ্যতামূলক করা হয় হিন্দি।

আরও পড়ুন: কোন রাজ্য কোন ভাষায় পড়াবে, কেন্দ্র ঠিক করার কে? হিন্দি নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা​

এই জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের সর্বত্র, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাতে শামিল হয় এনডিএ-র শরিক এডিএমকে এবং পিএমকেও। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিলে দেশের বহুত্ববাদী চিন্তাধারায় আঘাত লাগবে বলে জানায় তারা। তামিলনাড়ুতে শুধুমাত্র তামিল এবং ইংরেজি শেখানো হবে বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী।প্রতিবাদে সরব হন বাংলার বিশিষ্ট মহলও।

আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যেই হিন্দিতে ফেল ১০ লক্ষ!​

এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন তাঁরা। তার পরই এ দিন সকালে খসড়া সংশোধন করা হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy