দেশ জোড়া বিক্ষোভ সত্ত্বেও ৩২ হাজার শরণার্থীকে চিহ্নিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ছবি: পিটিআই।
দেশ জোড়া বিক্ষোভের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী তথা যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা জানান, এখনও পর্যন্ত ২১টি জেলায় ৩২ হাজার শরণার্থীকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
কেন্দ্র সরকার গত শুক্রবার সিএএ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কিন্তু কী ভাবে আইন কার্যকর হবে তা অবশ্য এখনও জানায়নি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু যোগী সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই ওই কাজ শুরু করে দিয়েছে। শ্রীকান্ত আজ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করছে না। ধীরেসুস্থে এই আইন বাস্তবায়িত করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শরণার্থীদের চিহ্নিত করতে। জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২১টি জেলায় ৩২ হাজার শরণার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে, সংখ্যাটা আরও বাড়বে।’’ তিনি জানান, এই প্রাপ্ত তথ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানানো হবে। কী ভাবে শরণার্থী চিহ্নিত করা হচ্ছে সে বিষয়ে যোগী সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই পিলিভিটের বাসিন্দা। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই জেলায় বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুর বসবাস। পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ থেকে ষাটের দশকে তাঁরা পিলিভিটি এসেছিলেন। জেলা প্রশাসন জানায়, নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। পিলিভিটের বাসিন্দা কালিবাদ হালদার বলেন, ‘‘সরকারের সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছি। সরকার যে আমার মতো মানুষের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে, তাতে আমরা খুশি।’’
আরও পড়ুন: প্রবাদের ঝুলি নিয়ে কেরলে বাঁকুড়ার দিশা
সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই আবহেই সিএএ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে যোগী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy