বুলন্দশহরে ধৃত অভিযুক্ত। পিটিআই
মহারাষ্ট্রের পালঘরের পরে এ বার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে দুই সাধু নিহত হলেন। পালঘরের ঘটনার পরে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছিল বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। এ বার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে দুই সাধুর হত্যার পরে কংগ্রেস, শিবসেনা থেকে সমাজবাদী পার্টির দাবি, বিজেপি যেন এই নিয়েও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেষ্টা না করে। তার বদলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানানোটাই যোগী সরকারের দায়িত্ব।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা থেকে অখিলেশ যাদবদের আশঙ্কা, বিজেপি ফের মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করতে পারে। তাই আগেভাগেই তাতে বাঁধ দিতে চাইছেন তাঁরা।
সোমবার রাতে বুলন্দশহরের পগোনা গ্রামের একটি শিবমন্দিরে দুই সাধুকে খুন করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় এক স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বুলন্দশহরের এসএসপি সন্তোষ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মুরাই ওরফে রাজু নামের ওই দলিত ব্যক্তিকে সাধুরা তাঁদের চিমটা চুরির অভিযোগ এনে বকাঝকা করেছিলেন। সেই রাগেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাজু তাঁদের ঘুমের মধ্যে খুন করে বলে অভিযোগ। আলিগড়ের ভদেসি আশ্রমের জগৎদাস (৫৫ বছর) ও সেবাদাস (৩৫ বছর) নামের দুই সাধু ১০ বছর ধরে ওই মন্দিরে থাকতেন।
পালঘরে গণপিটুনিতে দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালকের মৃত্যুর পর পুলিশ বলেছিল, গ্রামবাসীরা তাঁদের শিশু পাচারকারী ভেবেছিলেন। তাতে বিজেপি নেতৃত্ব সন্তুষ্ট হননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ, আলাদা করে উদ্ধবকে ফোন করে তদন্তের দাবি তোলেন। ওই সাধুরা বারাণসীর জুনা আখাড়ার সদস্য ছিলেন। প্রভাবশালী এই আখাড়ার ক্ষোভও উদ্ধব সরকারের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সরকারকে সরাসরি বলতে হয়েছিল, যে সাধুদের খুনে কোনও মুসলিমের হাত নেই।
পাল্টা সুযোগ পেয়ে উদ্ধব আজ আদিত্যনাথকে ফোন করেছেন। উদ্ধব জানান, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি বলেছি, যে ভাবে আমরা তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছি, আমি চাই, আপনিও তা করবেন এবং একে যেন সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা না হয়।” শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতও বলেন, “পালঘরের ঘটনাকে যেমন সাম্প্রদায়িক চেহারা দেওয়া হয়েছিল, এ ক্ষেত্রে যেন তা না হয়।” অখিলেশ যাদবেরও দাবি, সাধু-হত্যা নিয়ে যেন কোনও ভাবেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি না হয়।
আরও পড়ুন: ভুল করে কোভিড রোগীকে বাড়ি পাঠাল বাঙুর! ফের নিয়ে যেতেই মৃত্যু
গোটা ঘটনায় আদিত্যনাথ কী বলছেন, তা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাঁর দফতর জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক, এসএসপি ও উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো ঘটনা জানা ও দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে যোগী-রাজ্যে অতিমারির মধ্যেও খুনখারাপি হয়ে চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। এপ্রিল মাসে প্রথম ১৫ দিনেই ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি। মনে করিয়েছেন, তিন দিন আগে এটা-য় এক পরিবারের পাঁচ জনের রহস্যজনক মৃত্যুরও কারণ মেলেনি।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy