Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Child Psychology

Mental Health: করোনাকালে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে, বলছে সমীক্ষা

করোনাকালে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চাপের পরিমাণ তীব্র ভাবে বেড়েছে। প্রতি চার জনের এক জন অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছে।

করোনায় বেড়েছে শিশুদের অবসাদ।

করোনায় বেড়েছে শিশুদের অবসাদ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ১২:০৬
Share: Save:

শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি করোনা বহু মানুষের মানসিক ক্ষতিও করেছে। নানা গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। হালের গবেষণা বলছে, মানসিক ক্ষতির নিরিখে করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের।

সম্প্রতি কানাডার কয়েক জন মনোবিদ বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েক জন শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাঁদের দাবি, করোনাকালে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চাপের পরিমাণ তীব্র ভাবে বেড়েছে। প্রতি চার জনের এক জন অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছে। আর প্রতি পাঁচ জনের এক জনের মধ্যে উদ্বেগের তীব্র লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

গবেষক দলের সদস্য শেরি ম্যাডিগান আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘করোনাকালে সকলেরই মানসিক চাপ বেড়েছে। কিন্তু শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সেই চাপ মাত্রাছাড়া।’’

কী কী কারণে অপ্রাপ্তবয়স্কদের চাপ বেড়েছে?

গবেষণায় কতগুলি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে।

• সামাজিক মেলামেশা বন্ধ হয়ে যাওয়া

• লক্ষ্যপূরণ না হওয়া

• পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা

• দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকা

করোনাকালে প্রতি চার জন শিশুর এক জন আক্রান্ত হয়েছে অবসাদে।

করোনাকালে প্রতি চার জন শিশুর এক জন আক্রান্ত হয়েছে অবসাদে।

মূলত এই কারণগুলিই অপ্রাপ্তবয়স্কদের মনের উপর ব্যাপক চাপ ফেলেছে বলে দাবি গবেষকদের। তাঁদের বক্তব্য, আলাদা করে কোনও দেশ বা মহাদেশ নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে একই ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছে।

কী করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? ম্যাডিগানের মতে, ‘‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে পরিবারের অন্য সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’’ কিন্তু তাঁর আশঙ্কা করোনাকাল যত দীর্ঘায়িত হবে, সমস্যার পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Child Psychology coronavirus Pandemic COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE