যে সব স্থানে এই পাখিদের সংখ্যা কম, সেখানে নবাগত পাখিরা নিজেদের প্রজাতির গানের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে না।
আগে ভোরে উঠলে শোনা যেত পাখিদের গান। শান্ত পরিবেশে পাখিদের কলতানে মনটা যেন ভরে যেত। তবে এখন আর তেমন শোনা যায় না তাদের গান। ‘প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি’জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, কিছু পুরুষ পাখি যারা বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্গত তারা পূর্বপুরুষদের পাশাপাশি নিজেরাও গান গাওয়ার ক্ষমতা খানিকটা হলেও হারিয়ে ফেলছে।
রিজেন্ট হানিটার নামে পরিচিত একটি প্রজাতির পাখির গান গাওয়ার দক্ষতা এক দশক পর্যবেক্ষণ করার পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এই পাখিগুলি ইতিমধ্যেই বিলুপ্তপ্রায় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে সব স্থানে এই পাখিদের সংখ্যা কম, সেখানে নবাগত পাখিরা নিজেদের প্রজাতির গানের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে না। তাদের প্রজাতির আর বাকিরা কী ভাবে গানের মাধ্যমে সঙ্গীদের কাছে ডাকত, সেই শিক্ষাও পাচ্ছে না তারা। এর মানে এই নয়, যে একেবারেই তাদের গলা থেকে সুর বেরোয় না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বাবা-মা ও অন্য পাখিদের থেকে যে অভিজ্ঞতা তারা লাভ করে, তাতে বাধা পড়ছে। তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির পাখির সুরে গান গাইছে।
এমনটাই চলতে থাকলে এই প্রজাতির সংখ্যা নগণ্য হয়ে যেতে দেরি নেই, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ নিজেদের প্রজাতির সেই বিশেষ গান করেই এরূপ পাখিরা সঙ্গীদের আকৃষ্ট করে। সে সব পুরুষ পাখি নিজেদের প্রজাতির গান গাইতে অক্ষম তাদের প্রতি মহিলা পাখিরা আকৃষ্ট হচ্ছে না। ফলে তদের প্রজনন প্রক্রিয়াতেও এর বিরাট প্রভাব পড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy