হার্টকে ভাল রাখতে সাহাষ্য করে যোাগা। ছবি—শাটারস্টক
যোগা করলে মন শান্ত থাকে, নমনীয়তা বাড়ে শরীরের, এটুকুই জানা ছিল কেবল। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেল আরও কিছু তথ্য। বিজ্ঞানীরা জানালেন, দিনে মিনিট ২০ যোগা, প্রাণায়াম, ধ্যান করলে হার্টও ভাল থাকে। নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল। কাজেই এই কোভিডের বাড়াবাড়ির সময় নিয়মিত যোগা করলে সে সমস্যাও বশে থাকার কথা। কারণ হৃদরোগ, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সবই কোভিডের কোমর্বিডিটি। এই সব সমস্যা থাকলে কোভিড জটিল রূপ ধরতে পারে। বিভিন্ন গবেষণাপত্রে এর স্বপক্ষে যুক্তিও পাওয়া গেছে। সেগুলি কী, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
যোগা ও হার্ট : কী বলছে গবেষণা
• ইউরোপিয়ান জার্নাল অব কার্ডিওভ্যাসকুলার নার্সিং-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা অ্যারিদমিয়ার রোগীরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো সপ্তাহে মাত্র ৩০ মিনিট হালকা যোগা করলে ১২ সপ্তাহের মাথায় তাঁদের হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ অনেক স্থিতিশীল হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। উন্নত হয় জীবনযাপনের মান।
• ইস্কিমিক হৃদরোগের এক বড় কারণ হল শুয়ে–বসে থাকা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যোগা করলে, সে সপ্তাহে দু’দিন হলেও, ১০ সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ আগের চেয়ে বেশি নিয়মনিষ্ঠ ও কর্মক্ষম হন। হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। অল্টারনেটিভ থেরাপিস ইন হেল্থ অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত প্রবন্ধ।
• যোগা ও প্রাণায়ামে মানসিক চাপ কমে। তার হাত ধরে কমে হার্টের উপর চাপ।
আরও পড়ুন : নিয়মিত কঠোর যোগব্যায়াম ও খাবার নিয়ে নিয়ম মানলেই কি নিরাপদ থাকবেন মেয়েরা?
• আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মোটামুটি ৮ সপ্তাহ যোগা করার পরই উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমতে শুরু করে। "শারীরিক সক্ষমতা বাড়া ও মানসিক চাপ কমাই এর অন্যতম কারণ।" জানালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
• ৪০ জন হার্ট ফেলিওরের রোগীকে যথাযথ চিকিৎসার পাশাপাশি ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে ১৬ বার যোগা করিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, অন্যান্য উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের শ্বাসকষ্ট প্রায় ২২ শতাংশ কমে গেছে। মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই বিষয়ক প্রবন্ধ।
• জার্নাল অব আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি-তে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে জানা গেছে যে, এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন নামে দ্রুত ও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের যে মারাত্মক অসুখ আছে, যা থেকে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, তার প্রকোপও কিছুটা কমতে পারে নিয়মিত যোগা করলে।
• যদিও এই তত্ত্বকে দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও গবেষণার দরকার, কিন্তু কিছুটা যে উন্নতি হয়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে সন্দেহ নেই। ৪৯ জন এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনের রোগীকে যোগা করানোর পর দেখা যায় তাঁদের রক্তচাপ ও হার্টরেট খানিকটা কমেছে। ও বেশ কিছু দিন নিয়মিত করার পর বিপদের আশঙ্কা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : ডায়াবিটিসের দোসর করোনা! এই ওষুধে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
• কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হার্ট অ্যাটাক, বাইপা্স সার্জারি ইত্যাদির পর দ্রুত সেরে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় উদ্বেগ, স্ট্রেস, টেনশন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশনের (রোগের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর যে ভাবে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয় রোগীকে) পর্যায়ে অল্পস্বল্প করে যোগা ও প্রাণায়াম করালে রোগী অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ ও কর্মক্ষম হয়ে ওঠেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy