প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
কাকাও গাছের বীজ থেকে তৈরি, ডার্ক চকোলেটের পুষ্টিগুণ প্রচুর। তবে খাঁটি ডার্ক চকোলেট হলে তবেই সেটা স্বাস্থ্যকর। তাই বাজার থেকে ডার্ক চকোলেট কেনার সময় ভাল করে দেখে নেবেন তাতে কত শতাংশ কাকাও রয়েছে এবং বাড়তি কোনও চিনি যোগ করা হয়েছে কি না। যদি খাঁটি জিনিস কিনতে পারেন, তাহলে প্রত্যেক দিন নির্দ্বিধায় এক টুকরো করে খেতেই পারেন। কী ভাবে উপকৃত হবে, জেনে নিন।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ কাকাও থাকলে ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেটে পাবেন ফাইবার এবং খনিজ। ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক থাকে এই খাবারে। সঙ্গে পাবেন স্যাচুরেটেড এবং মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটও। যেহেতু এর পাশাপাশি কিছু বাড়তি চিনি এবং প্রচুর ক্যালোরিও থাকবে, তাই সীমিত পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়াই ভাল।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে
কোন খাবারে কতটা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা যাচাই করার এক বিশেষ ধরনের পরীক্ষা রয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রসেস না করা কাঁচা কাকাওয়ে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ব্লুবেরি এবং আকাইয়ের মতো ফলকেও ছাড়িয়ে যায় সেই মাত্রা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ডার্ক চকোলেট খেলে ধমনিতে নাইট্রিক অক্সাই়ড তৈরি হয়। যার ফলে মস্তিষ্ক ধমনিকে খানিক বিশ্রাম নেওয়ার বার্তা পাঠায়। তাই রক্ত চলাচল আরও সহজে হয় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ডার্ক চকোলেটের এই গুণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রত্যেকটা পরীক্ষায় এক রকম ফল পাওয়া যায়নি।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডার্ক চকোলেট দীর্ঘ দিন ধরে খেলে দেখা গিয়েছে ধমনিতে কম কোলেস্টেরল জমছে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে বলে আশা করেন বিজ্ঞানীরা। একটি সমীক্ষায় ৪৭০ প্রাপ্তবয়স্কদের ১৫ বছর ধরে ডার্ক চকোলেট খাওয়ানো হয়েছিল। দেখা গিয়েছে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে তাঁদের মধ্যে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
ডার্ক চকোলেটে যে বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ থাকে তা ত্বকের পক্ষে উপকারি হতে পারে। ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডার্ক চকোলেট খেলে শরীরে এমন পদার্থ তৈরি হয় যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করে। তবে সেটা খুবই সামান্য পরিমাণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy