জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের কফি উৎপাদনের উপর। ছবি- সংগৃহীত
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, কাজের ফাঁকে বা সন্ধ্যাবেলা কাজ থেকে ফিরে কফির কাপে চুমুক না দিলে চলে না। এই অভ্যাস যদি বজায় রাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে এ বার থেকে কফি কিনতে গেলে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের কফি উৎপাদনের উপর। যার ফলে কফির উৎপাদন কমতে পারে প্রায় ৫০ শতাংশ।
কফি উৎপাদনে বিশ্বের বৃহত্তম ১২টি অঞ্চলের উপর ১২ ধরনের আবহাওয়ার প্রভাব নিয়ে গবেষকরা সমীক্ষা করে দেখেছেন, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনের এই খামখেয়ালিপনা বেড়ে গিয়েছে বেশ অনেক গুণ। সেখানে বলা হয়েছে, “জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে এই অঞ্চলগুলিতে। যে সব অঞ্চল আগে খুব ঠান্ডা ছিল, এখন হঠাৎই সেখানে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।”
বিভিন্ন ধরনের কফি চাষ করতে প্রয়োজন আলাদা আলাদা তাপমাত্রা। সাধারণত ‘অ্যারাবিকা’ উৎপাদনের জন্য ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি এবং ‘রোবাস্টা’ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয় ২২ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের। পাশাপাশি, পাহাড়ের ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াতেও কফি চাষ ভাল হয়। কিন্তু গবেষকরা মনে করছেন, কফির চাষের আদর্শ এই পরিবেশ হঠাৎ করেই বদলে শুষ্ক এবং গরম হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। কফি উৎপাদনের হার কমে গেলে শুধু কফিপ্রেমী নয়, বিভিন্ন দেশের চাষীর উপরেও তার প্রভাব পড়বে। যার ফলে অনেকের প্রিয় এই পানীয়টির মূল উপাদান কফি উৎপাদনের হার কমতে পারে প্রায় ৫০ শতাংশ। ফলে ভাল মানের যে স্বল্প পরিমাণ কফি বাজারে আসবে, তা কিনতে গেলে পকেটে টান পড়বেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy