প্রতীকী ছবি।
বাঙালির সাদা তেলে রান্না করার অভ্যাস বহু দিনের। লুচিভাজা, সিঙাড়া ভাজা, পিঠেপুলি ভাজা— সব কিছুর জন্যেই সাদা তেল ব্যবহার করি আমরা। এখন অনেক চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ সাদা তেলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। অলিভ অয়েলের নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে বলে অনেকেই নানা রকম রান্নায় এই তেল ব্যবহার করতে চান না। আবার অনেকে মনে করেন, এগুলি সবই পাশ্চাত্যের প্রভাব, অলিভ অয়েলে রান্নার আদপে তেমন কোনও গুণ নেই। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সত্যিই সর্ষের তেল বা বাড়িতে তৈরি ঘিয়ে রান্না করার উপকারিতা অনেক। আলাদা করে অলিভ অয়েল কেনার প্রয়োজন নেই। তবে এটাও ঠিক যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের উপকারিতাও কম নয়। তা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ভাল।
অলিভ অয়েলে রয়েছে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা এক ধরনের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এ ছা়ড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই দেখে নিন অলিভ অয়েলে রান্না করার উপকারিতা কী কী।
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের খাবারে যদি চার টেবিল চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল থাকে, তা হলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা কমে। প্রথমেই চার টেবিল চামচ দিয়ে শুরু না করে আপনি রোজ দে়ড় চামচ অলিভ অয়েল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ত্বকের পক্ষে ভাল
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে রয়েছে অলিভ অয়েলের মধ্যে। তাই নিয়মিত অলিভ অয়েল খেলে ত্বক এবং চুল ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
মস্তিষ্ক সচল রাখে
স্মৃতিশক্তি ভাল করতে সাহায্য করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। কিছু গবেষণা বলছে, অলিভ অয়েল খেলে অ্যালজাইমার্সের মতো রোগের আশঙ্কাও কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। তাই খিদেও পায় কম। উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে বলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রদাহ কমায়
বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা বা শরীরের যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy