অ্যাকোয়ারিয়াম কিনবেন। পছন্দের মাছও ঠিক করে ফেলেছেন। কিন্তু দুই জিনিস কি একসঙ্গে কেনা উচিত?
যে কেউ বলতেই পারেন, অ্যাকোয়ারিয়াম কেনা তো মাছ রাখারই জন্য। মাছ না রেখে খালি অ্যাকোয়ারিয়াম কিনে ঘরে রাখা তো অর্থহীন। রঙিন মাছের ব্যবসা যাঁরা করেন, তাঁদের মতে, এটা খুব সাধারণ ভুল।
যাঁদের মাছ বা অ্যাকোয়ারিয়াম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা কম, তাঁরা অনেকেই একই দিনে অ্যাকোয়ারিয়াম এবং মাছ কেনেন। নতুন অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ ছেড়ে দেন। এর সমস্যা হল, একেবারে নতুন তৈরি বাড়িতে ঢুকলে যেমন রঙের গন্ধ নাকে আসে, ঘরের পরিবেশ শুরুতেই উপযুক্ত হয় না, এ-ও খানিক তেমনই।
অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিবেশ যতক্ষণ না উপযুক্ত হচ্ছে, সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয় মাছ কখনওই ভাল থাকবে না। মাছের মৃত্যুও হতে পারে। একে বলা হয় ‘নিউ ট্যাঙ্ক সিনড্রোম’।
বিষয়টি কী?
আরও পড়ুন:
অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে মাছের বর্জ্য থেকে দূষিত পদার্থ তৈরি হয়। সেই পদার্থ জমতে থাকলে, দূষণের মাত্রা বেড়ে মাছের মৃত্যু হতে পারে। ঠিক সে কারণেই অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি প্রয়োজন। আর তা কখনও এক দিনে হয় না।
নতুন অ্যাকোরিয়াম কেনার পর ‘সাইক্লিং’ খুব জরুরি। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা জলে প্রয়োজনীয় ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। মাছের বর্জ্য থেকে তৈরি হয় অ্যামোনিয়া, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর। জলে বেড়ে ওঠা ব্যাক্টেরিয়া অ্যামোনিয়া থেকে তৈরি করে নাইট্রাইট এবং তা বদলে যায় নাইট্রেটে। অ্যামোনিয়া এবং নাইট্রাইট মাছের জন্য ক্ষতিকর হলেও নাইট্রেট ততটা নয়।
সে কারণে রঙিন মাছের পরিচর্যাকারীরা বলছেন, নতুন অ্যাকোরিয়াম কেনার পর অন্তত ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়ার দরকার ‘সাইক্লিং’-এর জন্য। ব্যাক্টেরিয়া ঠিক ভাবে জলে তৈরি হলে তার পর সেখানে মাছ ছাড়তে হবে।
‘নিউ ট্যাঙ্ক সিন্ড্রোম’-এর লক্ষণ কী?
- মাছের খিদে কমে যাওয়া
- ঝিমিয়ে পড়া
- জল থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোনো
- মাছের মৃত্যু
- মাছের আচরণে খটকা লাগলে প্রথমেই জল বদলে ফেলুন। জলে ভাল ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে।
কী ভাবে অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি পাবে?
মাছ রাখার আগে জলে অ্যামোনিয়া জাতীয় যৌগ মেশাতে হবে। অ্যামোনিয়া ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। মাছ রাখার আগে জলের পিএইচ মাত্রা দেখে নেওয়া জরুরি।