প্রকৃতির দেওয়া জিনিসের এত দাম কেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।
জল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু জলের দাম যদি আকাশছোঁয়া হয়, তা হলে কিন্তু সত্যিই মুশকিল। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলের নাম এবং দাম প্রকাশ্যে এসেছে। ‘অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি’। ২০১০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলের শিরোপা পেয়েছে। দাম ৪৫ লক্ষ টাকা।
জল প্রাকৃতিক দান। প্রকৃতির দেওয়া জিনিসের এত দাম কেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেকেরই। অবশ্য তার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বোতলে। ৭৫০ মিলিলিটার জলের বোতল তৈরি হয়েছে ২৪ ক্যারাটের সোনা দিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের অনেকটা বাইরে এই জল।
বহুমূল্য এই জলে নাকি মেশানো থাকে ৫ গ্রাম ২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনা। এতে জলে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফ্রান্সের একটি ঝর্না, ফিজি দ্বীপের একটি প্রস্রবণ এবং আইসল্যান্ডের হিমবাহ— পৃথিবীর এই তিনটি অংশ থেকে জল ভরা হয় বোতলে। এক দশক আগে এক বোতল জল নিলামে বিক্রি হয়েছিলে ৬০ হাজার ডলারে। ভারতীয় টাকায় যার দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। মহার্ঘ্য এই জলের বোতলটির নকশা করেছেন ফার্নান্দো আলতামিরানো নামে একজন শিল্পী।
বেশি দামের জল যে এর আগে ছিল না এমন নয়। ‘ফিলিকো’ নামে এক বোতল জলের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৯০ হাজার টাকা। বোতলের কারুকার্যের জন্য বিশ্বে এর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। জাপানের কোবেতে নুনোবিকি নামের ঝর্না থেকে এই জল সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও ‘কোনা নিগারি’র এক বোতল জলের দাম ২৮ হাজার টাকা। তৈরি হয় জাপানে। এই জল পান করলে ওজন কমে, ভাল থাকে ত্বকে। তবে এখনও পর্যন্ত দামের দিক থেকে ‘অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি’-কে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy