Advertisement
০২ জানুয়ারি ২০২৫

প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কেন ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়?

জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গান স্যালুটের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গান শেষ হওয়া পর্য‌ন্ত চলে এই প্রক্রিয়া। কেন পালন করা হয় এই রীতি?

 এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেশে তৈরি সব অস্ত্রের প্রদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর তরফে।

এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেশে তৈরি সব অস্ত্রের প্রদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর তরফে। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৭
Share: Save:

প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দিল্লির রাস্তায় ২১ বার গান স্যালুট করা হয়। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপনের সঙ্গে এই প্রথা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেশে তৈরি সব অস্ত্রের প্রদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল দেশের সেনাবাহিনীর তরফে। এত দিন ২১ বারের তোপধ্বনিতে (২১ গান স্যালুট) ব্যবহার করা হত অতীতের ২৫ পাউন্ডার বন্দুক। এ বার ওই বন্দুকের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে ‘১০৫ এমএম ইন্ডিয়ান ফিল্ড গান’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যপূরণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মেজর জেনারেল ভবনীশ কুমার।

জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গান স্যালুটের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গান শেষ হওয়া পর্য‌ন্ত চলে এই প্রক্রিয়া। মোট ৫২ সেকেন্ড ধরে ২১ রাউন্ড গুলি চালানো হয়।

কেন ২১ বার গান স্যালুট করা হয় জানেন?

ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের যুগ থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণ করলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর তরফে ২১ রাউন্ড গুলি চালানো হত। পরবর্তী কালে শত্রুপক্ষের কাছে শান্তির বার্তা দেওয়ার জন্য এই প্রথা পালন করা হত। এখন ২১ গান স্যালুট দেশের অন্যতম ঐতিহ্যে পরিণত হয়ছে। দেশের সম্মান জড়িয়ে আছে এই প্রথার সঙ্গে। ২১ বার গান স্যালুট সার্বভৌম ভারতের প্রতীক।

অগ্নিবীরদের নিয়োগ ঘিরে গত বছর উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ, সেই অগ্নিবীররা এ বার অংশ নিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।

অগ্নিবীরদের নিয়োগ ঘিরে গত বছর উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ, সেই অগ্নিবীররা এ বার অংশ নিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।

২৬ জানুয়ারি দিল্লির কর্তব্যপথে (আগের নাম রাজপথ) প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কেরামতি দেখিয়েছে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’। এ ছাড়াও ‘এএলএইচ ধ্রুব’ ও ‘এএলএইচ রুদ্র’ কপ্টারকেও দেখা গেল দিল্লির রাজপথে। ‘কর্তব্যপথে’ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এ বার বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ এল-সিসি। যাঁদের নিয়োগ ঘিরে গত বছর উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ, সেই অগ্নিবীররা এ বার অংশ নিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy