ছবি- সংগৃহীত
হালের গবেষণা বলছে, বিয়ের ৪০ বছর পরও দাম্পত্যে সেই পুরনো রসায়ন টিকিয়ে রাখতে গেলে শোয়ার ব্যবস্থা হতে হবে আলাদা। ১১০০ জোড়া দম্পতিদের নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল হাউজ়ওয়্যার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর করা একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচ জন দম্পতির মধ্যে এক জনের শোয়ার ব্যবস্থা আলাদা। দম্পতিদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই প্রতি রাতে নিজেদের জন্য শোয়ার আলাদা ব্যবস্থা করে নেন।
অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখন বেশির ভাগ দম্পতিই আলাদা ঘরের নীতিতে বিশ্বাসী। তাঁরা অন্দরসজ্জার বিষয়ে কথা বলতে এসে প্রথমেই নিজেদের এই আলাদা আলাদা ঘরের চাহিদার কথা জানিয়ে দেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই ‘আলাদা ঘর’ নীতিই তাঁদের দাম্পত্য শান্তি বজায় থাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সঙ্গীর নাক ডাকা, গা থেকে কম্বল টেনে নেওয়া, মধ্যরাত পর্যন্ত আলো জ্বালিয়ে রাখা, পাশে শুয়ে, কম্বলের তলায় লুকিয়ে লুকিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সমাজমাধ্যমে আনাগোনা করা— এই সব কাজের জন্য পাশে থাকা সঙ্গীটির মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। নানা বিষয়ে মনোমালিন্য লেগেই থাকে। সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
মনোবিদদের মতে, অনেকেই মনে করেন, বিয়ে করা মানেই একে অন্যের সম্পত্তির মতো হয়ে যাওয়া। দু’জনের ব্যক্তিগত সব বিষয়ে অনধিকার চর্চা করা। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা অন্য রকম। ব্যক্তিগত জীবনে নিজের জন্য একটু ‘আলাদা’ জায়গা রাখার প্রয়োজন সকলেরই। নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রেখেও যে সম্পর্কে উষ্ণতা বজায় রাখা যায়, বাড়ে শারীরিক টান, তার প্রমাণ মিলেছে এই সমীক্ষা থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy