মমির পরিচয়। ছবি: সংগৃহীত
শিশুর মৃত্যুর ৪০০ বছর পর জানা গেল মৃত্যুর কারণ। সপ্তদশ শতাব্দীতে অস্ট্রিয়ার এক পরিবারে জন্ম হয় তার। এত বছর পর গবেষণার মাধ্যমে জানা গেল খুদেটির ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। সে কারণেই হয়েতো তার মৃত্যু হয়েছে।
ভাবছেন তো, এত বছর পর কী ভাবে খুদের মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হল? শিশুটির দেহ পাওয়া গিয়েছে কাঠের কফিনে বন্ধ অবস্থায়। অস্ট্রিয়ার এক সম্ভ্রাম্ত পরিবারের সদস্য ছিল সে। মৃত্যুর পর তাকে মমি আকারে কফিনবন্দি করা হয়।
ভার্চুয়াল অটোপসির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও, প্রায় ৪০০ বছর আগে যখন সে মারা যায়, তখন অপুষ্টিতে ভুগছিল শিশুটি। শুধু তা-ই নয়, নিউমোনিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েই মৃত্যু হয় খুদেটির। এমনই ধারণা বিজ্ঞানীদের।
জার্মান গবেষকদের একটি দল নবজাগরণের শৈশব সম্পর্কে নতুন ভাবে আলোকপাত করার জন্য ঐতিহাসিক রেকর্ডের পাশাপাশি অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ব্যবহার করে মমিটি পরীক্ষা করেছে। সিল্কের চাদরে মোরা শিশুটির মমি দেখে আন্দাজ করা যায় যে, ষোড়শ থেকে সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শিশুটিকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার শরীরের সূক্ষ্ম বৈশিষ্টগুলি চোখে ধরা যাচ্ছে না। তবে সেই যুগে এত সুন্দর করে মমি বানিয়ে রাখা হয়েছিল যে, তাঁর শরীর এখনও সুন্দর ভাবে রয়েছে, পচে-গলে যায়নি।
অ্যাকাডেমিক ক্লিনিক মিউনিখ-বোগেনহাউসেনের আন্দ্রেয়াস নের্লিচ এই গবেষণাটি পরিচালনা করছেন। ভার্চুয়াল অটোপসি এবং রেডিয়ো কার্বন টেস্টিংয়ের মাধ্যমে শিশুটির আসল পরিচয় ও তার স্বল্প জীবনের কাহিনি উদ্ধার করার কাজ চলছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy