অনেকে সময়েই বাজার থেকে ফল কিনতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের গায়ে লাগানো রয়েছে ছোট্ট একটি স্টিকার। অনেকেই ভেবে নেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলি বোধহয় গুণমানের পরিচায়ক। এমনকি, কেউ কেউ ভাবেন, এই ফলগুলি বোধহয় বিদেশ থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ বা ‘এফএসএসএআই’ বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে। কিন্তু ভারতে আদৌ এমন কোনও নিয়ম নেই। বরং ভারতে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলি অন্য ফলের তুলনায় ভাল— এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও চাওয়া হয় গ্রাহকদের কাছে। কাজেই ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ ভারতে অন্তত নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
Globally, stickers on fruits & vegetables provide traceability & price look up codes. In India, however, they're used to make products look premium. Consumers should note that fruits/vegetables with stickers are not necessarily of premium quality. Visit https://t.co/m3ammTwY8Z pic.twitter.com/eeI4U8WxIz
— FSSAI (@fssaiindia) January 19, 2019
তা ছাড়া ভারতে ব্যবহৃত স্টিকারগুলি যে আঠা দিয়ে ফলের গায়ে লাগানো থাকে, তার উপরেও বিশেষ নজরদারি নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এই ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টে ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই ধরনের স্টিকার কী নির্দেশ করে? খাদ্যের গুণমান নির্ণায়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইএফপিএস’ বলছে, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনও কোড থাকে তবে তার অর্থ, ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। কোডটি পাঁচ সংখ্যার হলে ও কোডের প্রথম সংখ্যাটি ৮ হলে তার অর্থ, ফলটি ‘জেনেটিকালি মডিফায়েড’ বা জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি ৯ দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ, সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি।