প্রতীকী ছবি।
মুখের লোম তুললেন, তার পরেই শুরু হল জ্বালা ভাব। সঙ্গে সঙ্গে বরফ দেওয়া হল পার্লারে। কিন্তু তাতে লালচে হয়ে গেল ত্বক। তাই আরাম পেলেও চিন্তায় পড়লেন। আদৌ কি বরফ দেওয়া ঠিক হল? ত্বকে বরফ ব্যবহার করা কি উচিত?
রূপচর্চায় বরফ ব্যবহার করা নতুন বিষয় নয়। আগে যখন ঘরে ঘরে ফেশিয়ালের চল ছিল না, বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে বাড়ির মহিলারা সারা মুখে বরফ ঘষতেন। তবে এই নিয়ম খুব প্রচলিত নয়। তাই প্রয়োজনের সময়েও বহু ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করে ওঠা হয় না। কিন্তু ক্যাটরিনা কইফ ইনস্টাগ্রামে বহু বার জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যেক দিন মুখে বরফ লাগান। তাই জেনে নিন মুখে বরফ লাগালে কী লাভ হতে পারে?
১) বরফ দিলে সহজেই চোখের ফোলা ভাব কমে। এ কথা অনেকে জানেন। কিন্তু মুখের অন্য কোনও ফোলা ভাবও অল্প সময়ে কমিয়ে দিতে পারে বরফ। ফলে মেকআপ করার আগে মুখে কিছুটা বরফ লাগিয়ে নিলে কাজ হতে পারে। চেহারা অনেকটাই মসৃণ হয় কয়েক মুহূর্তে।
২) অনেক সময়ে চেহারায় তেমন ঔজ্জ্বল্য থাকে না। কখনও চোখ-মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে যায়। তা থেকে মুক্তি দিতে পারে বরফ। মিনিট খানেক ভাল ভাবে মুখে বরফ ঘষলে ফিরে আসবে জেল্লা।
৩) ত্বকের প্রদাহও কমে বরফ দিলে। তাতে স্বাভাবিক রূপও খোলে।
তবে মুখে বরফ দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
১) কোনও মতেই বেশি ক্ষণ এক জায়গায় বরফ চেপে ধরে রাখা ঠিক নয়। বরফ দেওয়া মানেই তা ঘষতে হবে। না হলে চামড়ায় বরফের দাগ পড়ে যেতে পারে।
২) বরফ সরাসরি ত্বকে দেওয়া ঠিক নয়। কোনও একটি পাতলা সুতির কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে দিতে হবে।
৩) বরফ দেওয়ার পরে অনেকের মুখেই লাল ভাব দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তা বেশি ক্ষণ থেকে যায়। এমন হওয়ার প্রবণতা থাকলে খুব অল্প সময়ের জন্য বরফ ব্যবহার করতে হবে। অথবা মুখে কোনও পাতলা ফেস প্যাক লাগিয়ে তার উপর দিয়ে বরফ লাগাতে হবে।
বরফ দেওয়ার পর যে জেল্লা আসে, তা ধরে রাখবেন কী ভাবে?
বরফ দিলে ত্বক টানতে থাকে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ভাল ভাবে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া জরুরি। তাতেই জেল্লাও বাড়বে। যাঁদের ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁরা অ্যালোভেরা জেলও লাগাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy