খাই খাই ভাব কমাবেন কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের প্রতি যাঁদের অঢেল প্রেম, তাঁদের রোগা হওয়া সহজ নয়। খাবারের সম্পর্ক যত অটুট হবে, ওজনও বাড়তে থাকবে পাল্লা দিয়ে। রোগা হওয়ার জন্য শরীরচর্চা করা যতটা জরুরি, ডায়েটও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েট যত নিষ্ঠা মেনে করবেন, ছিপছিপে হওয়ার রাস্তা তত মসৃণ হবে। রোগা হওয়াও সহজ হবে অনেক। কিন্তু খাবার দেখলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে, রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমাতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
ফাইবার বেশি করে খান
ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। ফাইবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে পেট ভর্তি থাকলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। সামনে পছন্দের খাবার থাকলেও পেট ভরা থাকলে খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে। তাই পেট খালি না রাখাই ভাল।
প্রোটিন খান
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হলে অনেক সময়ে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। মাংস, মাছ, ডিম, গ্রিক ইয়োগার্টে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। সারা ক্ষণ খিদে পেলে প্রোটিন আছে এমন খাবার বেশি করে খান।
ডার্ক চকোলেট
মাঝেমাঝে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেট খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফাইবারের মতোই পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভর্তি রাখে। ঘন ঘন খিদেও পায় না।
জল খান পর্যাপ্ত পরিমাণে
ওজন ঝরানোর ডায়েটে জল বেশি করে খাওয়ার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। শরীর আর্দ্র থাকলে ওজন কমানো সহজ হয়। ঠিক একই ভাবে জল বেশি করে খেলেও সারা ক্ষণ খাই খাই ভাবটা অনেক কমবে। খিদেও কম পাবে। অনেক সময়ে হজমের গোলমালের কারণে বেশি খিদে পায়। সঠিক পরিমাণে জল খেলে এই সমস্যা আর হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy