রান্নায় কাঁচা বা শুকনো লঙ্কা বেটে দিলে স্বাদ ভাল হয়। কিন্তু হাত একেবারে জ্বলেপুড়ে যায়। ছুরি বা কাঁচি দিয়ে লঙ্কা কাটতে গেলেও অসাবধানে এমনটা হতে পারে। দ্রুত বেসিনের কলের তলায় হাত ধরলেও সহজে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। অভিজ্ঞেরা বলছেন, লঙ্কার মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক একটি রাসায়নিকের জন্যই ত্বকে এমন জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়।
ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি। শুধু জ্বালাপোড়া নয়, হাতের তালু লাল হয়ে ফুলেও যেতে পারে। আর অসাবধানে যদি সেই হাত চোখে বা গোপনাঙ্গের কাছাকাছি চলে আসে, তা হলে তো কথাই নেই। তবে রন্ধনশিল্পী পঙ্কজ ভাদৌরিয়া বলছেন, রোজের এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা রাখা যেতে পারে। বাড়িতে দুধ, দই কিংবা মাখন তো থাকেই। হাতের তালুতে যে কোনও একটি মেখে নিলেই দ্রুত জ্বালাপোড়া কমবে। রন্ধনশিল্পী এবং নেটপ্রভাবী মারিয়া মোহিনী আবার এ সব ক্ষেত্রে তাঁর শাশুড়িমায়ের টোটকা মেনে চলেন। তিনি বলেন, “লঙ্কা কাটার পর হাতের জ্বালাভাব কমাতে শাশুড়িমায়ের কথামতো চিনির রসে খানিক ক্ষণ হাত ডুবিয়ে রাখি। তাতেই দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া আর কোন কোন উপায়ে হাতের জ্বালাপোড়া কমানো যায়?
১) অ্যাসিডজাতীয় দ্রবণ কিন্তু ক্যাপসাইসিনের প্রভাব কমাতে পারে। সে ক্ষেত্রে হেঁশেলে থাকা লেবুর রস কিংবা ভিনিগার দারুণ ভাবে কাজ করে।
২) অনেকে আবার হাতের তালুতে সর্ষের তেল মেখে নেন। ক্যাপসাইসিন তেলেও দ্রবীভূত হয়।
৩) বরফজলে হাত ডোবালেও জ্বালার অনুভূতি খানিকটা কমে।