শেষকৃত্যেও সাহায্য করলেন না পড়শিরা! ছবি: সংগৃহীত
জীবিত অবস্থায় একঘরে করা হয়েছিল। মৃত্যুর পরেও সঙ্গ দিলেন না গ্রামবাসীরা! ২৭ বছর আগে অন্য বর্ণে বিয়ে করেছিলেন অসমের পটলসিংপাড়ার অতুল শর্মা। তাই মৃত্যুর পরেও পড়শিরা দাহ করতে এগিয়ে এলেন না।
মৃতের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে বাইরে থাকেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর দ্রুত আসতে পারেনি সে। ফলে স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেরে ফেলা ছাড়া উপায় ছিল না তাঁদের। কিন্তু শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেননি কোনও গ্রামবাসী। সম্ভব হয়নি দাহ করাও। শেষ পর্যন্ত স্বামীর এক ভাই একা হাতে কোনও রকমে কবর দেন তাঁকে।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ফিরে আসেন ছেলেও। প্রশাসনের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় অতুলের দেহ। প্রশাসনের সহায়তাতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় দাহ করা হয় তাঁকে। মৃতের ছেলের অভিযোগ, শুধু এখন নয়, ২৭ বছর আগে বাবা-মায়ের বিয়ের সময় থেকেই গ্রামে একঘরে হয়ে যান তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy