আজকের দিনে চুলের অকালপক্বতা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। ছবি:শাটারস্টক
পাকা চুল এখন আর বয়স বাড়ার লক্ষণ নয়। যে কোনও বয়সেই মাথায় উঁকি দিতে পারে রুপোলি রেখা। চুলের অকালপক্বতার মূল কারণ জিনগত। কোনও পরিবারের সদস্যদের চুল তাড়াতাড়ি পাকতে শুরু হওয়ার ধারা থাকলে প্রতি প্রজন্মেই সেই ট্রেন্ড বহাল থাকতে পারে। এর পাশাপাশি আধুনিক চাকরির অত্যধিক স্ট্রেস, পরিবেশ দূষণ, ডায়েটে অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড-সহ নানা কারণে অল্প বয়সেই চুল পেকে যায়। অনেক সময়েই দেখা যায়, কারও কারও তিরিশের কোঠাতেই মাথার চুল অর্ধেকের বেশি পেকে গিয়েছে।
এক বার চুল সাদা হয়ে গেলে তা আর স্বাভাবিক ভাবে কোনওদিন কালো হবে না। তা ছাড়া এক বার চুল পাকতে শুরু করলে খুব দ্রুত মাথার বাকি অংশও সাদা হতে থাকে। তাই মাথায় সাদা চুল দেখা গেলেই সতর্ক হন। এমন কিছু টিপস মেনে চলুন যাতে সাদা হয়ে যাওয়া চুল কালো হয়ে যায়। আবার বাকি চুলেরও পুষ্টিসাধন হয়। সে ক্ষেত্রে বাজারচলতি কৃত্রিম রঙ থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন। তার থেকে বেছে নিন ঘরোয়া পদ্ধতি। এমন কিছু পদ্ধতি, যাতে চুলের রঙ এবং স্বাস্থ্য দুইই বজায় থাকে।
চুলে লালচে ভাব আনতে হলে হেনা ভেজাবেন লোহার পাত্রে।
হেনা:
প্রাকৃতিক ভাবে চুল রাঙাতে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হেনার জুড়ি নেই। যে দিন হেনা করবেন, তার আগের দিন হেনার গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখুন। শুধুমাত্র বড় ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত হেনাই ব্যবহার করবেন। চুলে লালচে ভাব আনতে হলে হেনা ভেজাবেন লোহার পাত্রে। আর শুধু কন্ডিশনিং করতে হলে যে কোনও পাত্রেই ভেজাতে পারেন। পরের দিন চায়ের লিকার বানান। কিছুক্ষণ চা পাতা ভিজতে দিন জলে। তবে কিছুক্ষণই। বেশিক্ষণ কিন্তু ভিজিয়ে রাখবেন না। ঠান্ডা লিকারে মেশান ভেজানো হেনা। মাথায় খুসকির সমস্যা থাকলে এতে মেশান লেবুর রস। এ বার হেনার পেস্ট তৈরির পালা। খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্যাক বেশি তরল না হয়ে যায়। তা হলে চুলে লাগানোর সময় কপাল দিয়ে গড়িয়ে পড়বে। তাই থকথকে প্যাক বানিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে মাথায় ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন। স্ক্যাল্পে যেন হেনা না লাগে, খেয়াল রাখবেন। অন্তত এক ঘণ্টা হেনা প্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ জলে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু সালফেটমুক্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। প্রতি মাসে এক বার করে হেনা করতে থাকুন। কয়েক মাসে পরে নিজেই দেখবেন চুলের পরিবর্তন।
নারকেল তেলে কারি পাতা মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক
কারিপাতা:
চুলের জন্য খুবই উপকারী। ‘ভিটামিন এ’, ‘ভিটামিন ই’, ক্যালসিয়াম, কপার, তামায় সমৃদ্ধ কারিপাতা অকালপক্বতা রোধ করে। চুলকে মোলায়েমও বানায়। নারকেল তেলে কারিপাতা মিশিয়ে ফোটান। হালকা কালচে আভা দেখা দিলে বুঝবেন আর গরম করার দরকার নেই। এ বার ওই মিশ্রণ ঠান্ডা করে ভাল করে চুলের আগাগোড়া লাগিয়ে নিন। এরপর হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’ থেকে তিনদিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
কফির প্রলেপ চুলে বাদামি আভাস আনে।ছবি: শাটারস্টক
কালো কফি:
গরম জলে কফি দিয়ে ক্বাথ বানান। মিশ্রণ ঠান্ডা হলে ওই ক্বাথ চুলে ভাল করে মাখিয়ে নিন। অন্তত কুড়ি মিনিট ওইভাবেই চুল রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে দুই থেকে তিনদিন এটা করতে থাকুন। চুলে বাদামি আভাস চলে আসবে।
কয়েক যুগ ধরে চুলের যত্নে আমলার ব্য়বহার হয়ে আসছে। ছবি: শাটারস্টক
আমলা:
আমলা বা আমলকি চুলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। নারকেল তেলের সঙ্গে আমলাগুঁড়ো মিশিয়ে গরম করতে হবে। তারপর সেটা ছেঁকে চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি লাগিয়ে নিন। রাতভর মাথায় রাখুন। তারপর সকালে ঈষদুষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন।
অকালপক্বতা রোধে কার্যকরী পেঁয়াজের রস। ছবি: শাটারস্টক
পেঁয়াজ:
অকালে চুল পাকা রোধে পেঁয়াজও খুব কার্যকরী। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আধঘণ্টা। তারপর ঈষদুষ্ণ জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন: কন্টিনেন্টাল স্বাদের সঙ্গেই ঝরিয়ে ফেলুন পেট-কোমরের অবাঞ্ছিত মেদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy