বাইরের আঘাত থেকে মাথার ত্বককে বাঁচায় চুল। ছবি: শাটারস্টক।
‘অন্ধকার বিদিশার নিশা’ না হোক পরিচ্ছন্ন সুন্দর চুল নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সকলেরই সৌন্দর্যের অঙ্গ। চুলের সব সমস্যা মিটিয়ে তাকে সুন্দর করার জন্য আমলকির ভূমিকা কম নয়।
‘ত্রিফলা’-র এই অন্যতম ফলটি আমাদের চুলকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। আমলকি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, এতে থাকা বিশেষ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসারের মতো মারণ অসুখকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা-সহ নানা সমস্যা দূর করতে এটি সিদ্ধহস্ত।
আমলকিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইটো কেমিক্যালস। এগুলি চুল ত্বক সবই ভাল রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আসলে রোদ-ঝড়-জলের প্রথম ঝাপটা সামলায় ত্বক। ত্বকেরই বর্ধিত অংশ চুল। তাই সুন্দর রাখার পাশাপাশি মাথাকে বাঁচায় চুল। আমলকি কী কী ভাবে চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করে, জানেন?
আরও পড়ুন: আপেল সিডার ভিনিগারের এই সব উপকারের কথা জানতেন!
অনেকেরই অভিযোগ, চুল সহজে বড় হতে চায় না। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আমলকির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি। এরা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল লম্বা হতে এবং ঘন হতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। কেননা আমলকির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস চুলের কোলাজেন নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। তাই চুল ভাল রাখতে আমলকি ব্যবহার করুন নিয়মিত। আমলকি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। চুলের ধরন শুষ্কই হোক বা তেলা— আমলকি শুকিয়ে গুঁড়ো করে জল দিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। শ্যাম্পু করে নিলেই সুন্দর ফুরফুরে চুল পাবেন।
অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় আমলকি। আমলকির ভিটামিন সি ইনফ্যামেশন ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি শুষ্ক স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করে খুশকির সমস্যা সারিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: হতাশার শিকার হন প্রায়ই? কিছু জরুরি কৌশলে কাটিয়ে উঠুন এই সমস্যা
ধোঁয়া, ধুলো, দূষণের পাশাপাশি চুলের স্টাইল করতে গিয়ে জেল লাগানো, স্ট্রেটনিং, ড্রাইং ইত্যাদির কারণেও চুলের অনেক ক্ষতি হয়। তা দূর করে আমলকির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন কাঁচা আমলকির রস করে তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। স্নানের সময় ধুয়ে ফেলতে হবে। বিভিন্ন কারণে অকালে চুল পেকে যায়। রাসায়ানিক রং দিয়ে চুল না ঢেকে আমলকির তেল মাথায় মাখুন। চুল পাকার সমস্যা কমবে অনেক। আমলকি খেলেও চুল ও ত্বক ভাল থাকে। তবে বাজারচলতি জুসের পরিবর্তে বাড়িতে টাটকা আমলকি শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে জলে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে খেলে উপকার পাবেন।
কী ভাবে বানাবেন আমলকির তেল?
আমলকি পাতলা করে কেটে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। তাতে নারকেল তেলে মিশিয়ে রোদ্দুরে দিন। রোদে গরম হওয়া তেল নিয়ম কলে মাথার ত্বকে মাখুন। অথবা কাঁচা আমলকি বেটে নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে ঢিমে আঁচে ফুটিয়ে ছেঁকে রাখুন। এই তেল অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy