বিমানের বেশির ভাগ যাত্রীই তখন উৎসবের মেজাজে। বড়দিন, নতুন বছরের রেশ তখনও কাটেনি। পাশে বসে থাকা অচেনা যাত্রীর সঙ্গেও খোশমেজাজে গল্পগুজবে মত্ত বেশির ভাগই। হঠাৎই নাকে আসে দুর্গন্ধ। গা গুলিয়ে ওঠে। সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই দেখা যায় এক যাত্রী নিজের আসনে মলত্যাগ করেছেন। এবং তাঁর কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। বিষ্ঠা নিয়েই স্বচ্ছন্দে বসে আছেন। আমেরিকার ডেল্টা এয়ারলাইনসে ঘটা এই ঘটনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন বিমানের অন্য এক যাত্রী। ওই মহিলা তাঁর আট বছরের কন্যাকে নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন:
ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বার্মিংহাম আলবামা থেকে আটলান্টার দিকে যাচ্ছিল বিমানটি। টেক অফের পরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিমানে। কিন্তু কোথা থেকে গন্ধ আসছে সেটা প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না। প্রথমে ওই তরুণীর সন্দেহ হয়েছিল নিজের মেয়েকেই। কিন্তু তাকে জিজ্ঞেস করায় সে অস্বীকার করে। মলত্যাগ করে ফেলতে পারে এমন আর কোনও বাচ্চা বিমানে ছিল না। ফলে কেউই বুঝতে পারছিলেন না। তবে বিমানের চাকা মাটি ছোঁয়ার পরে পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এক এক করে সব যাত্রী আসন ছাড়েন। বিমান প্রায় ফাঁকা হতেই জানলার ধারের একটি আসন থেকেই গন্ধের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। একটা আসন পুরো বিষ্ঠায় মাখামাখি।
বিষ্ঠামাখা আসনে বসেছিলেন এক চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা। বিমান থেকে নামা পর্যন্ত ওই ভাবেই এক জায়গায় বসে ছিলেন তিনি। সেটা ভেবেই বমি উঠে আসার মতো অবস্থা সকলের। এমন একটি ঘটনা জানার পর অনেকেই বিষয়টিকে নিয়ে ঠাট্টা, ইয়ার্কি করেছেন। আবার কেউ লিখেছেন, ‘‘পেটের সমস্যা থাকলে সত্যিই তখন আর স্থান-কাল-পাত্রের কথা মাথায় থাকে না।’’