বাড়িতে খাওয়ার জল শুদ্ধ করার যন্ত্র কোনও কারণে খারাপ হয়ে গেলে আমরা বাজার থেকে ফিটকিরি কিনতে দৌড়াই। জলে ফিটকিরি ফেলে দিলে অনেক ক্ষতিকর জীবাণু দূর হয়। কিন্তু এই ফিটকিরি যে রোজকার জীবনে আরও নানা কাজে লাগতে পারে, তা জানা আছে কি?

ঘা শুকোতে

মুখের ভিতরে কোনও ঘা হলে তাতে ফিটকিরি লাগাতে পারেন। আগে থেকেই বলে রাখা ভাল একটু জ্বালা করবে। কিন্তু ঘা শুকিয়ে যাবে নিমেষে। লালারস গিলে ফেলবেন না যেন। যদিও এই টোটকা ছোটদের উপর প্রয়োগ না করাই ভাল।

মুখের দুর্গন্ধ

যাঁদের মুখে ব্যাকটিরিয়া বেশি, তাঁদের মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। ফিটকিরি ব্যাকটিরিয়া দূর করতে সক্ষম। তাই জলে সামান্য নুন মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে ফিটকিরি গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এই জল ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ভরে রাখুন। নিয়মিত এই জল দিয়ে কুলি করলে দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

মাথার উকুন

বাচ্চাদের মাথায় উকুন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। উকুন মরে গেলেও ডিমগুলি থেকে যায় বহু দিন। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে ফিটকিরি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। জলে ফিটকিরি গুঁড়ো এবং টি-ট্রি ওয়েল মিশিয়ে নিন। এই জল ১০ মিনিট মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।

ত্বকের ক্ষত

দাঁড়ি কাটতে গিয়ে হঠাৎ গাল কেটে গেল? ফিটকিরি লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটা। কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে না।

অ্যাকনের সমস্যা

এক চামচ মুলতানি মাটি, দু’চামচ ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো দিয়ে একটি ফেস প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। অ্যাকনের সমস্যা বাড়লে এটা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাকনের লালচে ভাব বা ফোলা ভাব, ব্যথা কমে যাবে।

বয়সের ছাপ

যদি মনে হয়ে চোখের চারপাশে বলিরেখা বা চেহারায় অন্য কোনও রকম বয়সের ছাপ বোঝা যাচ্ছে তাহলে একটু জলে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে ফ্রিজারে বরফ বানিয়ে নিন। প্রত্যেকদিন এই বরফ মুখে ঘষে নিয়ে এমনি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দীর্ঘ দিন নিয়মিত এই টোটকা মানলে উপকার পাবেন।

ঘামের দুর্গন্ধ

অত্যাধিক ঘাম হচ্ছে? ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ডিওড্র্যান্টের মতো কাজ করে ফিটকিরি।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া

নাক দিয় রক্ত পড়ছে। জলে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সেই জলে তুলে ভিজিয়ে খানিকক্ষণ নাকে রক্ত পড়ার জায়গায় চেপে ধরুন। তবে দুই নাসিকা একসঙ্গে বন্ধ করে দেবেন না।